আইপিএলের বাকি অংশ ইংল্যান্ডে!

আইপিএলের বাকি অংশ ইংল্যান্ডে!

২৯ ম্যাচ খেলা হয়েছে। প্লে-অফসহ বাকি আরও ৩১ ম্যাচ। এমন অবস্থায় বন্ধ হয়ে গেল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)।

ভারতে করোনা পরিস্থিতি এতটাই মারাত্মক যে, কখন সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে ফের আইপিএল মাঠে গড়াবে তা অনিশ্চিত। এদিকে টুর্নামেন্টটি হঠাৎ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় কমপক্ষে ২২০০ কোটি রুপি লোকসানের মুখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।

এমন পরিস্থিতিতে দারুণ এক প্রস্তাব দিল ইংল্যান্ড। দেশটির একাধিক কাউন্টি ক্লাব তাদের ভেন্যুতে আইপিএলের ম্যাচ আয়োজন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আইপিএলের বাকি অংশের আয়োজন করতে চায় তারা।

সেপ্টেম্বরে এমসিসি, সারে, ওয়ারউইকশায়ার এবং ল্যাংকাশায়ার— এই চার কাউন্টি দল নিজেদের মাঠে আইপিএলের ম্যাচ আয়োজন করতে ইচ্ছুক।

এই চার ক্লাবের ঘরের মাঠ হলো যথাক্রমে লর্ডস, কিয়া ওভাল, এজবাস্টন ও ওল্ড ট্রাফোর্ড। প্রতিটি কাউন্টি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করেছে যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে।

আইপিএল আয়োজনে আগ্রহী কাউন্টিগুলোর বক্তব্য— টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই প্রতিযোগিতা ইংল্যান্ডে করা হলে ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

অবশ্য হিসাব অনেকটা বাণিজ্যিকও। আইপিএলের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ইংল্যান্ডের বাজার ধরতে আগ্রহী কিছু সংস্থা।

এদিকে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সময় বের করে যত দ্রুত সম্ভব তারা বাকি অংশ আয়োজন করতে চান। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে সেটি ভারতে সম্ভব কিনা তা পড়েছে অনিশ্চয়তায়। এ ছাড়া ভারতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এতটাই ভেঙে পড়েছে যে, করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সামর্থ্য থাকে কিনা সেটিই আশঙ্কার বিষয়। এর মধ্যে অক্টোবরে দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনই হুমকিতে পড়েছে।

এসব বিবেচনায় ইংল্যান্ডের কাউন্টিগুলোর আবেদনে ভারত সাড়া দিলে বিস্ময়ের কিছু নেই। অনেকের মতে, এটি ভালো সিদ্ধান্ত হবে।

সে ক্ষেত্রে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হলে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে দেখা যেতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসরটি। তথ্যসূত্র: ইএসপিএন ক্রিকইনফো

এমজে/