সহজ জয়ে সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা

সহজ জয়ে সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা

ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সামনে ছিল প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের উপলক্ষ্য। চট্টগ্রাম টেস্ট হওয়ার পর সবার চোখ ছিল মিরপুরে। কিন্তু টপ অর্ডার ব্যাটারদের নিদারুণ ব্যর্থতায় এই ম্যাচ ড্রও করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো হেরেছে বাজেভাবে। ২৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা লক্ষ্য স্পর্শ করে তিন ওভারে, কোনো উইকেট না হারিয়ে। বাংলাদেশ হেরে যায় ১০ উইকেটে। দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে ট্রফি জিতল লঙ্কান শিবির।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৩৬৫ রান। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে রান ৫০৬। দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিব ও লিটন আশা জাগালেও লিড বেশি হয়নি। দু’জনই পান ফিফটি। কিন্তু এই দু’জনের বিদায়ের পর আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। ১৬৯ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। সাকুল্যে লিড দাঁড়ায় মাত্র ২৮ রান।

২৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কা তাইজুলের বলে প্রথম ওভারেই নেয় ১৬ রান। দ্বিতীয় ওভারে সাকিব দেন ৭ রান। ইবাদতের করা তৃতীয় ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা। ফার্নান্দো ২১ ও করুনারত্নে ৭ রানে থাকেন অপরাজিত।

বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান ছিল ৪ উইকেটে ৩৪ রান। মুশফিক ১৪ ও লিটন ১ রানে ছিলেন অপরাজিত। শেষ দিনে মুশফিক নিজের স্কোরে যোগ করতে পারেন ৯ রান। রাজিথার বল বুঝতেই পারেননি। হয়ে যান বোল্ড। উপড়ে যায় স্টাম্প। ৩৯ বলে চারটি চারে ২৩ রানে ফেরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

লিটন-মুশফিক জুটিতে ছিল বড় ভরসা। সেই জুটি ভাঙনের পর হতাশা বাড়ে। তবে সাকিব এসে সেই হতাশা দূর করতে শুরু করেন। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কয়েক ওভার খেলে নিজের রান বাড়িয়ে নেন।

লিটনকে পেছনে ফেলে তিনি তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম ফিফটি। ৬১ বলে সাত চারে ফিফটি পূর্ণ করেন সাকিব।

লাঞ্চের পর ফিফটির দেখা পান লিটনও। এই ফিফটিতে টেস্টে বাংলাদেশের অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে দুই হাজার রান পূর্ণ করেন লিটন। তৃতীয় দ্রুততম। আগের দু’জন মুমিনুল ও তামিম। ১৩০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন লিটন। টেস্ট ক্যারিয়ারে লিটনের ১৩তম ফিফটি। ফিফটির পরপরই বিদায় নেন লিটন। ফার্নান্দোর বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন তিনি। থামে তার পথচলা। ১৩৫ বলে তার রান ৫২। ষষ্ঠ উইকেটে আসে ১০৩ রান।

এরপর টিকতে পারেননি সাকিবও। ব্যক্তিগত ৫৮ রানের মাথায় ফার্নান্দোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ৭২ বলের ইনিংসে সাকিব হাঁকান সাতটি চার। মোসাদ্দেক ২২ বলে করেন ৯ রান। তাইজুল করেন ১০ বলে ১ রান। শেষ ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমে প্রথম বলেই বোল্ড খালেদ আহমেদ। শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

বল হাতে শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো। কাসুন রাজিথা দুটি ও রমেশ মেন্ডিস নেন একটি উইকেট।