কুমিল্লার স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে মাশরাফির রংপুর

কুমিল্লার স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে মাশরাফির রংপুর

ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিপিএলের পঞ্চম আসরের অন্যতম সেরা দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে জায়গা করে নেয় দলটি। সেই দলটিই ফাইনালে যেতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা রংপুর রাইডার্স জায়গা করে নেয় ফাইনালে। সোমবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লাকে ৩৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসের সঙ্গী হয় মাশরাফির কুমিল্লা।

রংপুর ও কুমিল্লার মধ্যকার ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে সোমবারের রিজার্ভ ডে-তে গড়ায়। ৭ ওভারে ১ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা জনসন চার্লস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে রংপুর রাইডার্স। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারের শেষ বলে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

অলিখিত সেমিফাইনালের পর ফাইনালের আগে প্রস্তুতির সুযোগ পাচ্ছে না রংপুর রাইডার্স। মঙ্গলবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে শিরোপার লড়াইয়ে ঢাকার মুখোমুখি হবে মাশরাফির দল। ঢাকা চতুর্থ শিরোপা এবং রংপুর প্রথম শিরোপার লক্ষ্যে মাঠে নামবে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে তামিম ইকবাল ১৯ বলে ৩৬, লিটন দাস ২৮ বলে ৩৯, জস বাটলার ১৬ বলে ২৬ এবং মারলন স্যামুয়েলস করেন ৩০ বলে ২৭ রান।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে রুবেল হোসেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। রবি বোপারা ও ইশুরু উদান নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন সোহাগ গাজী, মাশরাফি ও নাজমুল ইসলাম।

১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত ছিল কুমিল্লার। তামিম ও লিটন মিলে ২৮ বলে ৫৪ রান তোলে রংপুরকে চোখ রাঙানি দিচ্ছিলেন। তবে দুই ওভারের ব্যবধানে তামিম ও ইমরুলের বিদায়ে চাপের মুখে পড়ে যায় কুমিল্লা। মাশরাফির করা পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে সোহাগ গাজীকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেনতামিম। উদানার করা ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে ইমরুল বোল্ড হন।

শুরুতেই দুই উইকেট হারালেও রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখে কুমিল্লা। তবে নাজমুল ইসলামের করা দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে তুলে মারতে গিয়ে শোয়েব মালিক সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলে বড় ধরনের ধাক্কা খায় তামিমের দল।

দলীয় ৯৬ রানের মাথায় লিটন উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ মিঠুন ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলে জয় অনেকটাই হাতছাড়া হয়ে যায় কুমিল্লা। বাটলার ও স্যামুয়েলস পঞ্চম উইকেটে ৩০ বলে ৪১ রানের জুটি গড়লেও সেটি কুমিল্লাকে ম্যাচে ফেরাতে পারেনি।

জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে কুমিল্লার দরকার ছিল ৫৬ রান। বোপারার করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে সীমানা বরাবর নাজমুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে বাটলার ফিরে গেলে রংপুরের জয় সময়ের ব্যাপারে পরিণত হয়। শেষদিকে হাসান আলি ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাটিং শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমায়।

এর আগে চার্লস ও ম্যাককালামের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়ে রংপুর রাইডার্স। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজন ৮৯ বলে ১৫১ রানের অসাধারণ জুটি গড়লে রানের পাহাড় গড়ে মাশরাফির দল।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১০৫ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন চার্লস। স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরির পথে ৬৩ বলের ইনিংসটিতে ৯টি চার ও ৭টি ছক্কা হাঁকান এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান। এছাড়া ম্যাককালাম ৪৬ বলে ১টি চার ও ৯টি ছক্কায় খেলেন ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস।

কুমিল্লার হয়ে একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান, হাসান আলি ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আল-আমিন ৪ ওভারে ৪২ এবং গ্রায়েম ক্রেমার ৩ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১৫০ঘ.)