৮ গোলের ম্যাচে ইরানকে উড়িয়ে ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত শুরু

৮ গোলের ম্যাচে ইরানকে উড়িয়ে ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত শুরু

আসর শুরুর আগে ইংল্যান্ডের বর্তমান ছন্দ নিয়ে কথা হয়েছিল অনেক। কিন্তু সব সমালোচনাকে তুড়ি মেরে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিল ইংল্যান্ড। ইরানকে রীতিমতো গোল বন্যায় ভাসিয়ে কাতারে নিজেদের মিশন শুরু করল গ্যারেথ সাউথ গেটের শিষ্যরা।  

আজ সোমবার কাতার বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের হয়ে জোড়া গোল করেছেন সাকা। একবার করে জালের দেখা পেয়েছেন বিলিংহ্যাম, রাহিম স্টার্লিং, জ্যাক গ্রিলিশ ও মার্কোস র‍্যাশফোর্ড। ইরানের হয়ে গোল দুটি করেন মেহেদি।

দোহার খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত ম্যাচটির দখল ও আক্রমণে আধিপত্য রাখে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৭৯ ভাগ সময় বল নিজেদের দখলে রাখে ইংলিশরা। পুরো সময়ে ১৩বার ইরানের গোলবারে আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। যার মধ্যে ৭টি ছিল অনটার্গেট শট। বিপরীতে ২১ ভাগ সময় বল দখলে রেখে ইরান মাত্র ৮টি আক্রমণ করে। যার মাত্র অনটার্গেট ছিল ৩টি।  

এদিন ম্যাচের শুরুতে বল সেভ করতে গিয়ে চোট পান ইরানের গোলরক্ষক বেইরানভান্দ। নবম মিনিটে গোল সেভ করতে গিয়ে নাকে আঘাত পান ইরানি গোলরক্ষক। নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে তাঁর। তবুও চিকিৎসা নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গোলবারের সামনে। ১৯তম মিনিটে ফের মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় বেইরানভান্দকে। পরে বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নামেন হোসেইনি। 

বেইরানভান্দকে হারানোর কিছুক্ষণ পরই গোল খেয়ে বসে ইরান। ৩৫তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে শর ক্রস থেকে চমৎকার হেডে ইংল্যান্ডকে লিড এনে দেন বিলিংহ্যাম। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের জার্সিতে বিশ্বকাপ মঞ্চে গোল করেন তিনি। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটাই তাঁর প্রথম গোল।

কয়েক মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাকা। মাগুইয়ারের বাড়ানো বল ধরে ডান দিক দিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন সাকা। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় গোল করার উৎসবের রেশ না কাটতেই ফের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন রাহিম স্টার্লিং। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন স্টার্লিং। তাতে শক্ত অবস্থানে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ইংলিশরা।

বিরতির পর ফিরেই ফের চমক দেখান সাকা। ম্যাচের ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন তিনি। এর ৩ মিনিট পর ব্যবধান কমায় ইরান। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ৭১ মিনিটে র‍্যাশফোর্ডের গোলে ফের স্কোরলাইন ৫-১ করে নেয় ইংল্যান্ড।

ইরান শিবিরে শেষ পেরেক দেন জ্যাক গ্রিলিশ। শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে সফল স্পট কিকে এক গোল শোধ করে মাঠ ছাড়ে ইরান।

বিশ্বকাপে লম্বা সময় ধরে শিরোপা অধরা ইংল্যান্ডের। এমনকি ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ের পর গেল ৫৬ বছরে কখনো সেমিফাইনালের গণ্ডিই পেরুতে পারেনি ইংলিশরা। এবার সেই বাধা কাটাতে মরিয়া ইংল্যান্ড। সেই লক্ষ্যে শুরুটা রঙিন হলো হ্যারি কেইনদের।