চ্যাম্পিয়নের মতোই যাত্রা শুরু করল ফ্রান্স, বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া

চ্যাম্পিয়নের মতোই যাত্রা শুরু করল ফ্রান্স, বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়া

ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়নের মতো বিশ্বকাপ যাত্রা করল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ২০১৮ বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বজয়ের মিশন শুরু করেছিলো ফ্রান্স। এবারও তাই। পার্থক্যটা কাজান আর আল ওয়াকরার। গতবারের জয়টা ছিল ২-১ গোলে। তবে এবারের জয়ে ব্যবধানটা আরও বেশি।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) আল ওয়াকরার আল জানোব স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-১ গোলে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ফরাসিরা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ক্রেগ গুডউইন একমাত্র গোলটি করেন। ফ্রান্সের হয়ে অলিভিয়ার জিরুড ২টি, এমবাপ্পে ও র‌্যাবিওট একটি করে গোল করেন।

আল জানোব স্টেডিয়ামে অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই ফরাসিদের মনে ভয় ধরিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রেগ গুডউইন। ম্যাচের ৯ মিনিটে ল্যাকির পাস থেকে গোল করে ফরাসিদের স্তব্ধ করে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়াকে উল্লাসে ভাসান তিনি। এবারের বিশ্বকাপে এটাই সবচেয়ে দ্রুততম গোল। দিনের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে মেসির দশম মিনিটের গোলকে পেছনে ফেললেন গুডউইন।

গোল খেয়ে পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে ফ্রান্স। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে প্রতিপক্ষের রক্ষণে। অবশেষে সাফল্য ধরা দেয় ১৮ মিনিট পর। অর্থাৎ ম্যাচের ২৭ মিনিটের সময়। লুকাস হার্নান্দেজের ক্রস ধরে দারুণ হেডে বল জালে পাঠিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন আদ্রিয়েন র‍্যাবিওট।

ম্যাচে সমতা ফেরানোর ৫ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ৩২ মিনিটের সময় র‍্যাবিওটের ক্রস থেকে জিরুড ফাঁকা পোস্টে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ফ্রান্সের হয়ে সবশেষ ২৭ ম্যাচে এটি জিরুডের দ্বিতীয় গোল। আর জাতীয় দলের হয়ে এসি মিলান ফরোয়ার্ডের গোল হলো ৫০টি।

বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত ফরাসিরা। কিন্তু এমবাপ্পের পাস থেকে পেনাল্টি স্পটের কাছে ফাঁকায় বল পেয়েও উড়িয়ে মারেন উসমান দেম্বেলে। খানিক পর এমবাপের মিস করেন আরও সহজ সুযোগ। ডান দিক থেকে গ্রিজমান ছয় গজ বক্সের মুখে পাস দেন। এমবাপের সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক; কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে সাইড ফুটে উড়িয়ে মারেন তিনি।

২-১ গোলে এড়িয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফরাসিরা। বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে এবারের আসরের প্রথম গোলের দেখা পান এমবাপ্পে। দেম্বেলের ক্রস থেকে পাওয়া বল দুই ডিফেন্ডারের মাঝে লাফিয়ে উঠে বল হেড করে জালে জড়ান এমবাপ্পে।

এরপর তিন মিনিটের ব্যবধানে আবারো গোলের দেখা পান জিরুড। ৭১ মিনিটের সময় বাঁ দিক থেকে এমবাপ্পের ক্রস দারুণ হেডে বল জালে জড়ান জিরুড। এই গোলের মাধ্যমে ফরাসি জার্সিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৫১ গোলের মালিক জিরুড। তার আগে ৫১ গোল করে শীর্ষে ছিলেন ফরাসি কিংবদন্তী থিয়েরি অঁরি।