টেস্ট ক্রিকেট টিকবে না, টিকবে টি-টোয়েন্টি

টেস্ট ক্রিকেট টিকবে না, টিকবে টি-টোয়েন্টি

ঢাকা, ১৪ মে (জাস্ট নিউজ) : টেস্ট ক্রিকেট বিলুপ্তই হয়ে যাবে’- কথাটা এমন একজনের, যিনি টেস্ট ক্রিকেটে নিজ দেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। টেস্টেই যাঁর ব্যাট থেকে এসেছে দেশের পক্ষে একমাত্র ত্রিশতকটি।

ব্রেন্ডন ম্যাককালাম নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা। কিউইদের অন্যতম সেরা টেস্ট ক্রিকেটার। অন্তত রেকর্ড বিচারে। যদিও টি-টোয়েন্টিরই ফেরিওয়ালা তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে এখন ব্যস্ত ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে।

টি-টোয়েন্টির কাছে টেস্ট ক্রিকেট হেরে যাবে, এ কথা অবশ্য নতুন নয়। ম্যাককালাম নিজেও আগে বলেছেন। তবে ম্যাককালাম এবার নতুন এক ধারণাও দিলেন। তাঁর অনুমান, এরপর টি-টোয়েন্টির ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো টেস্ট ক্রিকেটের ওপর মুরুব্বিগিরি করবে। অনেক টাকা দিয়ে কেনা খেলোয়াড়দের প্রভাবিত করবে টেস্ট ক্রিকেট না খেলার ব্যাপারে!

ম্যাককালাম বলেছেন, আমি মনেপ্রাণেই মনে করি, টেস্ট ক্রিকেট ভবিষ্যতে থাকবে না। কারণ, এই সংস্করণ খুব অল্পসংখ্যক দেশই খেলতে পারে।

যুগের পরিবর্তনকেই এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে দেখছেন, বাস্তবতাটা হচ্ছে মানুষ টি-টোয়েন্টি খেলাটা কেবল খেলা হিসেবেই দেখে না। তারা এটা টেলিভিশন-বিনোদন হিসেবেও দেখে। আমাদের চারপাশের সমাজ-সামাজিকতা বদলে যাচ্ছে। মানুষ এখন টেস্ট ক্রিকেট দেখার জন্য চার-পাঁচ দিন সময় দিতে পারবে না। মানুষের হাতে এত সময় নেই। লোকেরা খুব বেশি হলে ম্যাচের পঞ্চম দিনের প্রথম ও শেষ সেশনটা দেখতে পারে-যদি ম্যাচটা খুব আকর্ষণীয় হয়।

ম্যাককালাম যোগ করেছেন, কিছুদিন পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তাদের খেলোয়াড়দের টেস্ট ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেবে না। আমি এমন কোনো খেলোয়াড়কে নেব না, যে টেস্ট খেলে নিজের স্কিল আবার টি-টোয়েন্টিতে রূপান্তর ঘটাবে। যদিও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি একই ধরনের সামগ্রী দিয়ে খেলতে হয়, কিন্তু টি-টোয়েন্টিকে যদি পুরোপুরি আলাদা করে ফেলতে পারেন, তাহলে এটি খেলতে অন্য মাত্রার স্কিলের প্রয়োজন হবে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬০৪ঘ.)