২-০ গোলে এগিয়ে ইংল্যান্ড

২-০ গোলে এগিয়ে ইংল্যান্ড

ঢাকা, ৭ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : ৫৯তম মিনিটে গোল করে ইংল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দিয়েছেন ডেলে। জেসে লিনগার্ডের ক্রস থেকে হেড করে বল জালে পাঠান তিনি। ৩০তম মিনিটে গোল করে দল্কে এগিয়ে নেন মাগুইরি। কর্নার কিক উড়ে আসা বল হেড করে বল জালে পাঠান তিনি। সামারাতে ম্যাচটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়। এই ম্যাচে যারা জিতবে সেমিফাইনালে তারা রাশিয়া অথবা ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে।

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নেমেছে ইংল্যান্ড ও সুইডেন। ইউরোপিয়ান ফুটবলের দৃষ্টিকোণ থেকে কঠিন এক ম্যাচ আশা করছে ফুটবলবিশ্ব। দুই দলের লড়াইয়ের পরিসংখ্যান প্রায় সমানে-সমান। সামারা অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়। রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ইতিমধ্যে বাদ পড়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দলগুলো।

তারকাখ্যাতি ও শক্তির বিচারে সুইডেনের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবেন হ্যারি কেনরা। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে ইংলিশরা দুর্দান্ত খেলেছে। নিজেদের গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে ওঠা ইংল্যান্ড সুন্দর ফুটবলে সবার মন ভরিয়েছে। অধিনায়ক হ্যারি কেনের ওপরই এ ম্যাচের স্পটলাইট থাকবে। তিন ম্যাচে ছয় গোল করে তিনিই বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জেতার সবচেয়ে বড় দাবিদার। সুইডিশদের বিপক্ষে ম্যাচেও থ্রি লায়নরা জিতবে বলে বিশ্বাস ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের, ‘পেনাল্টি শুটআউটে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেয়েছি। আশা করি, শেষ চারে ওঠার পথেও ইংলিশদের বড় সাফল্য উপহার দিতে পারব।’ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোনস আরও একধাপ এগিয়ে বললেন বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নের কথা, ‘আমরা ট্রফি নিয়ে ফিরতে চাই।’

তবে সুইডেনকে হিসাব থেকে বাদ দিলে ভুল হবে। জার্মানির গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছিল সুইডেন। শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে শেষ আটে এসেছে সুইডিশরা। ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা সুইডেন নিজেদের বিশ্বকাপ সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে মরিয়া হয়েই লড়বে আজ। ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোনসও তা জানেন, ‘আপনি যদি বলেন বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল সহজ, তাহলে ভুল করবেন। কখনও কখনও এমন দলই আপনাকে আঁস্তাকুড়ে ছিটকে ফেলবে। তারাও ভালো দল।’

অতীতে সর্বমোট ২৪ বার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড-সুইডেন। যার মধ্যে সাতটিতে জয় পেয়েছে সুইডেন, আটটিতে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। বাকি নয় ম্যাচ ড্র হয়। ২০০২ ও ২০০৬ সালে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও সুইডেন। দুবারের দেখায়ই ড্র হয়। ২০০২ সালে ১-১। ২০০৬ সালে ২-২। ২০১২ সালে শেষ দেখা হয়েছিল এই দুই দলের। সেবারে ৪-২ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল সুইডেন। চারটি গোলই করেন ফরোয়ার্ড জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। যদিও এই বিশ্বকাপে নেই তিনি। তারপরও সেই জয়টাই হতে পারে সুইডেনের আত্মবিশ্বাস। সবকিছু মিলিয়ে দুই কঠিন প্রতিপক্ষই আজ মুখোমুখি হবে। আর এই ম্যাচে যারা জিতবে তারাই পাবে সেমিফাইনালের টিকিট।

ইংল্যান্ড একাদশ : জর্ডান পিকফোর্ড (গোলরক্ষক), কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, হ্যারি ম্যাগুইরে, কেইরান ট্রিপার, অ্যাশলে ইয়াং, হেসে লিনগার্ড, জর্দান হেন্ডারসন, ডেলে আলি, হ্যারি কেইন (অধিনায়ক), রাহিম স্টার্লিং।

সুইডেন একাদশ : রবিন ওলসেন (গোলরক্ষক), ভিক্টর নিলসন লিন্ডেলফ, আন্দ্রেস গ্রাঙ্কভিস্ট (অধিনায়ক), লুইডউইগ অগাস্টিনসন, এমিল ক্রাফথ, সেবাস্তিয়ান লারসন, আলবিন একদাল, এমিল ফরসবার্গ, ভিক্টর ক্লায়েসন, মার্কাস বার্গ, ওলা তোইভোনেন।
(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২১৩৬ঘ.)