এবার সমর্থকদের গালি দেয়ার অভিযোগ সাব্বিরের বিরুদ্ধে

এবার সমর্থকদের গালি দেয়ার অভিযোগ সাব্বিরের বিরুদ্ধে

ঢাকা, ২৮ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : এবার সমর্থকদের ‘গালি দেয়ার’ অভিযোগ উঠেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাব্বির রহমানের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডের পর ফেসবুকে ভক্তকে পাঠানো মেসেজে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ আর হুমকি দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।

গত ডিসেম্বরে রাজশাহীতে ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ চলাকালীন বাউন্ডারির পাশে এক কিশোর পিটিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিলেন সাব্বির রহমান। ওই ঘটনার শাস্তি হিসেবে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ার পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ৬ মাস। জরিমানাও দিতে হয়েছে ২০ লাখ টাকা। ওই ঘটনার অনেকে ভেবেছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল এই ব্যাটসম্যান হয়তো নিজেকে শুধরে নেবেন। কিন্তু সাব্বিরের বিপক্ষে আবারও অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই ভক্তকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দিয়েছেন।

ফেসবুক থেকে ভক্তের কাছে সাব্বিরের পাঠানো সেই মেসেজের স্ক্রিনশট পেয়েছে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো। ওয়ানডে সিরিজে এ পর্যন্ত দুই ম্যাচে সাব্বির মোটেও ভালো করতে পারেননি। দুই ম্যাচ মিলিয়ে তার রান ১৫। দ্বিতীয় ম্যাচের পর সাব্বিরের বর্তমান ফর্ম নিয়ে ফেসবুকে ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য করে স্ট্যাটাস দেন এক সমর্থক। সেখানে সাব্বিরকে ট্যাগ করেন আরেক ভক্ত। এরপরই সাব্বির রহমান রোমান নামের অ্যাকাউন্ট থেকে বিতর্কিত মেসেজটি পাঠানো হয়। এ ছাড়াও সেই দুই ভক্তকে ‘ব্লক’ করার পাশাপাশি সাব্বিরের অ্যাকাউন্টও সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিসিবি সেই খুদে বার্তা সমন্ধে অবহিত হওয়ার পর থেকেই সাব্বিরের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ।

বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সম্ভাব্য এই আচরণবিধি ভাঙার ব্যাপারে বোর্ড ‘যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’ তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং ভক্তদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে, সে ব্যাপারে খেলোয়াড়দের বিশেষ করে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বিধিনিষেধ নির্দিষ্ট করা আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাবার্তার সময় তাদের ভীষণ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বিষয়টা প্রকাশ্যে ঘটেছে এবং সেটা বিসিবি জেনেছে, তাই এ ধরনের নিয়মভঙ্গের কিছু ঘটে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/১৯১৯ঘ.)