মোসাদ্দেকের ব্যাপারে কী বলছে বিসিবি

মোসাদ্দেকের ব্যাপারে কী বলছে বিসিবি

ঢাকা, ২৮ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) ‌: জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেশ কয়েকজন ইতোপূর্বে বিভিন্ন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। এ কাতারে সবশেষ নাম এসেছে অলরাউন্ডার মোসাদ্দেকের। তরুণ এ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন ১০ লাখ টাকার যৌতুক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।

এদিকে সোমবার থেকে বিসিবি একাডেমি মাঠে শুরু হয়েছে আসন্ন এশিয়া কাপের জন্য প্রাথমিক দলের প্রস্তুতি পর্ব। তার একদিন আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রাঙ্গণে শুরু হয় সৈকতের গুঞ্জন। এই গুঞ্জন গড়ায় বোর্ড কর্তাদের কানেও। এ নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। একের পর এক এমন ঘটনার দায় এড়াতে পারছে না খোদ বিসিবিও।

নিজাম উদ্দিন বলেন, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের সাথেও এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। যদিও ব্যাপারটা তাদের পারিবারিক কিন্তু আমাদের দিক থেকে যা করণীয় সেটা করবো আমরা। বিসিবি প্রধান দেশের বাইরে আছেন। তিনি এলে শুধু মোসাদ্দেকই নন, আরও যারা অতীতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এদিকে স্ত্রী সামিয়ার মামলার বিষয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বিয়ের পর থেকেই ও আমাকে আলাদা সংসার গড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু আমার বাবা নেই, যে মায়ের কারণে আমি আজ ক্রিকেটার। সেই মাকে ছেড়ে কিভাবে আলাদা থাকি? এটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি ওকে এটা নিয়ে অনেক বুঝিয়েছি।’

সৈকত আরও বলেন, ‘আমি যখন খেলার কারণে ট্যুরে থাকতাম তখন ও আমার মার সঙ্গে ঝগড়া করত। মাকে একাধিকবার মেরেছেও। এসব কারণে আমি গত ১৬ আগস্ট তাকে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দেই।’

স্ত্রীর যৌতুকের অভিযোগ নিয়ে এ ক্রিকেটার বলেন, ‘দেখেন ওকে আমি গত ১৬ আগস্ট তালাক দিয়েছি। তার আগে ও কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। তালাক দেয়ার পর ও নাটক শুরু করেছে। আমার ক্যারিয়ার ধ্বংসের চক্রান্ত করছে।

মোসাদ্দেক আরও বলেন, ‘আমি মনে করি যে এত খারাপ সময় আমার আসেনি যে যৌতুক নিয়ে আমার চলতে হবে। আমি শুনেছি যে ডিভোর্স দিলে নাকি এমন নারী নির্যাতন বা যৌতুকের একটা মামলা করা হয়। তারাও হয়তো তাই করেছে।’

তবে সৈকতের স্ত্রী সামিয়া শারমিন গণমাধ্যমকে জানান, সৈকতের দুর্দিনে আমি তার পাশে ছিলাম। তার অর্থ-খ্যাতি হওয়ার পর সে আমার সাথে বাজে ব্যবহার শুরু করে। মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনও শুরু করে। এপ্রিলে আমি কনসিভ করি। রোজার ঈদের আগে আমার বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায়। ঈদে সৈকত বাড়ি আসে। আমি তাদের বাসায় ছিলাম। তার মা আমাকে বললো, বাপের বাড়ি চলে যেতে। কারণ আমার সেভাবে যত্ন হচ্ছিল না সেখানে। দু’মাস ধরে আমি বাসায়। তারা আমার সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সাথে তার আপন খালাতো বোন সামিয়া শারমিনের বিয়ে হয়।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০৪৭ঘ.)