ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : শত রান পূর্ণ করার আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মাহমুদুল্লাহ ও ইমরুলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় দলকে সম্মান জনক ২৪৯ রান এনে দিতে সক্ষম হয় এ জুটি। জিততে হলে আফগানদের করতে হবে ২৫০ রান।
রবিবার আবুধাবিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দেখে-শুনে শুরুটা করে দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে আগের দুই ম্যাচের এই ম্যাচেও পুরোপুরি ব্যর্থ তামিমের অনুপস্থিতি দলে সুযোগ পাওয়া শান্ত। এরপর ব্যাটিং প্রমোশনে তিনে ব্যাট করতে আসা মোহাম্মদ মিঠুন এক রান করে ফিরে যান।
শুরুতেই দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ ৭৪ রান করে আউট হলেও ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল কায়েস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ তুলতে পারে বাংলাদেশ।
এ ম্যাচের আগে দেশ থেকে সৌম্য সরকার এবং ইমরুলকে উড়িয়ে নেওয়া হলেও ওপেনে দেখা যায় নাজমুল ইসলাম শান্তকে। কিন্তু নিজের তৃতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ তিনি। দলের ১৬ এবং নিজের ৬ রানে শুরুতে ফিরে যান শান্ত। পরের ওভারে দলীয় ১৮ রানে ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন। সাকিব কিংবা ইমরুলকে অনডাউনে না নামিয়ে এ ম্যাচে নামিয়ে দেওয়া হয় মিঠুনকে। মুজিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর ৬৩ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস এবং মুশফিক। এরপর শুরু হয় বড় ধসের। নিজের ৪১ রানে রশিদ খানের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। দলের রান তখন ৮১। এরপর ক্রিজে এসে কোন রান না করেই ৮১ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান। এরপর আবার ঘাতক রান আউট। ৮৭ রানের মাথায় এবার ফিরে যান দারুণ শুরু করা মুশফিক। তিনি করেন ৩৩ রান।
এর আগে দুই পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ মাঠে নামছে বলে জানান বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া ইমরুল কায়েস জায়গা পান একাদশে। এছাড়া এ ম্যাচে অভিষেক হয় বাঁ-হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর। ইমরুলকে নেওয়া হয়েছে মোসাদ্দেকের জায়গায়। এছাড়া নাজমুল সুযোগ পেয়েছেন রুবেলের বদলি হিসেবে। বাংলাদেশ এ ম্যাচে অতিরিক্ত একজন স্পিনার নিয়ে খেলছে বলে জানান মাশরাফি। আফগান দলে পরিবর্তন একটি। নাজিবউল্লাহ জাদরানের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন সেনওয়ারি।
এর আগে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে তাই ঘুরে দাঁড়ানোর পালা মাশরাফিদের। এছাড়া দু'দলই সুপার ফোরে নিজেদের খেলা প্রথম ম্যাচে হেরেছে। এই ম্যাচ তাই দু'দলের জন্যই এক প্রকার ফাইনালের জন্য টিকে থাকার লড়াই। হারলেও অবশ্য সুযোগ থাকবে কিন্তু সুতোর ওপর ঝুলবে সে সুযোগ। দু'দলই তাই এ ম্যাচে জিতে এগিয়ে যেতে চাইবে।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, নাজমুল ইসলাম শান্ত, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ, মেহেদি মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু।
আফগানিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ শাহজাদ, এনসানউল্লাহ জানাত, রহমত শাহ, হাসমতউল্লাহ শাহেদি, আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবী, সামিউল্লাহ সেনওয়ারি, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, আফতাব আলম, মুজিব উর রহমান।
(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২১২৮ঘ.)