ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বছরের শুরুতে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাঁ-হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুলিতে চোট পেয়েছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেই চোট সারতে না সারতেই দেশের খেলতে নেমে পড়েন তিনি। বিসিবির অনুরোধে খেলতে রাজি হয়েছেন ঠিকই, তবে আঙুল ফুলে গেলেও বুঝতে পারেননি কব্জি পর্যন্ত ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ।
ডাক্তার জানিয়েছেন আর সামান্য কয়েক ঘণ্টা দেরী হলেই পুরো হাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ত। এমনকি হাত কেটে বাদও দেওয়া লাগতে পারত। দেশে ফিরে এসেছেন সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচের আগেই। তাকে ছাড়াই ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ৬০-৭০ মিলিলিটার পুঁজ বের করার পরে তাই হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই খেলা দেখলেন সাকিব।
ফেসবুকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশ যখন খেলতে নামছে তখন সাকিব হাসপাতালের বিছানায়। ডাক্তার বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিক চলবে প্রায় তিন সপ্তাহ। সুতরাং সংক্রমণ ভালো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সাকিবকে। অন্যদিকে সংক্রমণ ভালো হলে যদি অস্ত্রোপচার করানো হয়, তখন আরো আট সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে সাকিবকে। ফলে কমপক্ষে তিন মাস মাঠের বাইরেই থাকছেন সাকিব।
যেখানে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হতে পারতেন সাকিব, সেখানে তিনি হাজার মাইল দূরের দেশের হাসপাতালে শয্যাশায়ী একজন দর্শকমাত্র। আবারো মাঠে দ্রুতই ফিরে আসবেন চিরচেনা সাকিব, এটিই প্রত্যাশা ভক্তদের।
(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৫৫ঘ.)