সিলেট, ২৭ ডিসেম্বর : পুলিশী বাধার মুখে সমাবেশ করতে না পেয়ে সিলেট কোর্ট পয়েন্টে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, আওয়ামী লীগের এই জুলুম আল্লাহ সহ্য করবেন না। এই অন্যায় জুলুমের বিচার সিলেটবাসীর কাছে দিলাম। ৩০ তারিখ ধানের শীষ প্রতীকে সিলেটবাসী তাদের গণরায় ব্যক্ত করে এই অন্যায় অবিচারের জবাব দেবেন, ইনশাআল্লাহ।
এরআগে সিলেট-১ আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের সর্বশেষ নির্বাচনী সমাবেশ পুলিশী বাধার মুখে পন্ড হয়ে গেছে। কোর্ট পয়েন্ট ও আশপাশের এলাকা থেকে ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ পথচারীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশী বাধার মুখে নির্বাচনী সমাবেশ না করেই ফিরে যেতে বাধ্য হন খন্দকার মুক্তাদির।
পরে তিনি বন্দর বাজার ও আশপাশ এলাকায় গণসংযোগ করে ভোটাদের কাছে জুলুম ও নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রে হাজির হয়ে ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট নগরী আম্বরখানা নূরে আলা কমিউনিটি সেন্টারে খন্দকার মুক্তাদিরের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের আরো ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ ও বিজিবি।
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, কোনো ধরনের উস্কানী ছাড়াই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আমার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডস্ত নূরে আলা কমিউনিটি সেন্টারে তল্লাশীর নামে পুলিশ-বিজিবি তান্ডব চালিয়েছে। কার্যালয়ে কর্মরত নিরপরাধ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাদ মাগরিব কোর্ট পয়েন্টে আমার পূর্ব নির্ধারিত শেষ নির্বাচনী সভা পন্ড করে দিয়ে সেখান থেকে প্রায় ৫০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আমার সাথে পুলিশ খুব বাজে আচরণ করেছে। আমার নিশ্চিত বিজয় নস্যাত করতেই প্রশাসনকে আমার বিরুদ্ধে নগ্নভাবে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাকশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ধানের শীষের সমর্থনে সিলেটে জনতার যে স্রোত নেমেছে তা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনতার এই বাধঁভাঙ্গা স্রোতকে রুখে দেয়ার সাধ্য কোনো অপশক্তির নেই। ভয়কে জয় করে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে শুধু ভোট প্রদান করে নয়, ভোটকে রক্ষাও করতে হবে। ইতিহাস স্বাক্ষী সিলেটের পূণ্যভুমিতে ভোট লুটপাটকারীদের শেষ রক্ষা হয় নাই। ৩০ ডিসেম্বর আমরা বিজয় নিয়েই ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।
(জাস্ট নিউজ/একে/২০৫০ঘ.)
