নতুন ড্রেস না থাকায় বই দেওয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের, ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়

নতুন ড্রেস না থাকায় বই দেওয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের, ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়

সিলেট নগরীর উমরশাহ তেররতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ড্রেস না থাকায় বই দেওয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। মঙ্গলবার সারা দেশের ন্যায় ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়েও নতুন বই বিতরণ করা হয়। তবে সহপাঠীরা বই পেলেও নতুন ড্রেস না থাকায় বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ চললেও অনেক শিক্ষার্থীকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। তাদের অধিকাংশই আশপাশের ‘ঝুঁপড়ি’তে বসবাস করে। মূলত তাদের অভিভাবক দিনমজুর কিংবা স্বল্প আয়ের হওয়ায় নতুন বছরে ভাগ্যে জোটেনি নতুন পোশাক। আর তাই তারা বঞ্চিত হয় নতুন বই পাওয়া থেকে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা খানম গণমাধ্যমে বলেন, ‘নতুন ড্রেস পরে না আসলে বই দেওয়া হচ্ছে না। বার্ষিক ফলাফল ঘোষণার দিনই অভিভাবকদের নতুন বছরের প্রথম দিন ছেলেমেয়েদের নতুন ড্রেসে স্কুলে পাঠাতে বলা হয়েছিল।’

অপরদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ জানান, ড্রেসের সঙ্গে নতুন বইয়ের সম্পর্ক নেই। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীই নতুন বই বিতরণের আওতাভুক্ত।

খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে নেটিজেনদের নজর কাড়ে। এরপরই ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠে। অনেকেই এ ঘটনার জন্য নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

মজুমদার কামাল নামে একজন মন্তব্য করেন, সারা দেশে বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। নতুন পোশাক না থাকায় বই না দেওয়া ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এর মাধ্যমে শিশুদের নতুন বই নিয়ে বাড়ি ফেরার আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

সালাউদ্দিন সরকার নামে একজন লিখেন, বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেয়ে থাকে। অন্য সহপাঠীরা যখন বই পেল আর তারা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গেল এ ঘটনা আমাদের মর্মাহত করে।

সমাজ ব্যবস্থাকে দায়ী করে জামান করীম মন্তব্য করেন, নতুন পোশাকের জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে বই না দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিম্ম আয়ের মানুষ জনের সঙ্গে তামাশা করেছেন।

একে/