ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শাবি ছাত্র মেহেদী খুন

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে শাবি ছাত্র মেহেদী খুন

সিলেট, ২৬ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : ঢাকায় যাওয়ার পথে রবিবার গভীর রাতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী আল সালাম (২৫)। সিলেট নগরীর ক্বীনব্রীজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মেহেদী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র। তিনি শাবির মাভৈ আবৃত্তি পরিষদের সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। মেহেদী স্নাতক পাস করে কিছুদিন বাংলালিংক কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি সিলেট নগরীর মদীনা মার্কেটের বাসিন্দা। তার পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম সিলেট জেলা বারের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন।

একটি সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত কাজে মেহেদী রবিবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসা থেকে বের হন। ১টার দিকে কদমতলী এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত তার হাঁটুর পেছনে ছুরিকাঘাত করে। সেখানে অচেতন অবস্থায় এক রিকশাচালক তাকে নিয়ে হাসপাতালের দিকে রওয়ানা হয়। রিকশাচালক মাহিদকে নিয়ে ক্বীনব্রিজ এলাকায় এলে সেখান থেকে পুলিশ রাত আড়াইটার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান।

দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল বলেন, রাত ২টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় মাহিদকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কোনো ছিনতাইকারী তাকে ছুরিকাঘাত করেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

অন্য একটি সূত্র জানায়, রবিবার রাত ১টায় মেহেদী রিকশাযোগে সিলেট নগরীর ক্বীনব্রীজ এলাকা অতিক্রম করছিলেন। ক্বীন ব্রীজের উত্তরপ্রান্তে একদল ছিনতাইকারী তাকে ঘিরে তার পায়ে ছুরিকাঘাত করে এবং তার মোবাইল ফোনসেট ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ সময় রিকশাচালক তাকে দ্রুত ক্বীনব্রীজের দক্ষিণ প্রান্তে একটি ফার্মেসীতে নিয়ে যান। কিন্তু, তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সাথে সাথে দক্ষিণ সুরমা থানার একটি পিকআপ ভ্যানযোগে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, মেহেদীর ভাই ও বোন যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরার পর মঙ্গলবার তার দাফন সম্পন্ন হবে।

মেহেদীরা চার ভাই-বোন। বড় ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী, দুই বোনের মধ্যে যথাক্রমে আফসান সালাম শাবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এবং বর্তমানে স্কলারশীপ নিয়ে যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত, আরেক বোন ঢাকার পিজি হাসপাতালের চিকিৎসক। তার মা গৃহিনী। বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় বাসায় অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই ফারুক আহমদ জানান, মেহেদীর লাশ রবিবার রাতে হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়। সোমবার সকালে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে নেয়া হয়।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯২৪ঘ.)