ওসমানী মেডিকেলে রোগীর স্বজনকে ধর্ষণের ঘটনায় চিকিৎসক আটক, তোলপাড়

ওসমানী মেডিকেলে রোগীর স্বজনকে ধর্ষণের ঘটনায় চিকিৎসক আটক, তোলপাড়

সিলেট, ১৬ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্তৃক রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনকে ধর্ষণের অভিযোগে হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার ভোর রাতে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, নগরের বনকলা পাড়ার বাসিন্দার রোগীর সঙ্গে আসেন ওই নারী। ভিকটিম তার নানিকে নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল। সেই ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় রোগীর নাতনি ভোর রাত ৩টার দিকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে যান। এসময় চিকিৎসক ইন্টার্ন মাহতাব মাহবুব মাহিম তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ভিকটিমকে হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন রোগীর স্বজনরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ওয়ার্ডের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রাখা হয়।

সোমবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বজনদের নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে বৈঠক চলছিল।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. দেবব্রত রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, ভিকটিমেরর স্বজন, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক চলছে। পরে পুরো ঘটনা জানাবেন তিনি।

ওসমানী মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা এসআই ফারুক আহমদ বলেন, তিনি বাইরে রয়েছেন, ক্যাম্পে অবস্থান করা এসআই পলাশ আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এসআই পলাশ আহমদ মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্তৃক রোগীর সঙ্গে থাকা এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা তারা জেনেছেন। এ নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কাজ করছে।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাহবুবুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৭১৯ঘ.)