
ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছ থেকে হাজার হাজার অত্যন্ত গোপন ও সংবেদনশীল নথি উদ্ধার করেছে। যার মধ্যে নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত ডিমোনা পারমাণবিক স্থাপনা সম্পর্কিত উচ্চমাত্রায় গোপনীয় তথ্যও রয়েছে।
এ বিষয়ে অবগত সূত্রগুলো ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থাকে (আইআরআইবি) জানিয়েছে, এটি ছিল দখলদার ইসরাইলের ওপর অন্যতম বড় আঘাত।
সূত্রগুলো শনিবার জানায়, যদিও এই গোপন অভিযানটি কিছু সময় আগেই সম্পন্ন হয়। তবে বিপুল পরিমাণ নথিপত্র ও সেগুলো নিরাপদে ইরানে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কারণে সংবাদ গোপন রাখা হয়েছিল। যাতে সেগুলো নির্ধারিত সুরক্ষিত স্থানে নিরাপদে পৌঁছাতে পারে।
তারা এ-ও জানায়, নথির পরিমাণ এত বেশি যে এগুলো পর্যালোচনা করা, ছবি ও ভিডিওগুলো পর্যবেক্ষণ করতেই অনেক সময় লেগে যাচ্ছে।
এদিকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতারের ঘোষণা দেওয়ার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর এ তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটল।
ইসরাইল পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সিন বেত-এর ২০ মে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, রয় মিজরাহি ও আলমোগ আতিয়াস নামের ২৪ বছর বয়সি দুই তরুণকে এপ্রিলের শেষ দিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা ইরানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিমূলক তথ্য সংগ্রহ করছিল।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা দাবি করেন, ওই দুই ব্যক্তি দখলকৃত দক্ষিণাঞ্চলের কফার আহিম এলাকায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজকে অনুসরণ করছিল।
কয়েক সপ্তাহ আগেই ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ইরানের পক্ষে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ঘোষণা দিয়েছিল।
ইরানি গণমাধ্যমের দাবি, এ ঘটনা নথি স্থানান্তর সম্পন্ন হওয়ার পরেই ঘটেছে।
সূত্র: মেহের নিউজ