১২ দলীয় জোটের ইফতার

দাবি আদায়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে: মান্না

দাবি আদায়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে: মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক ৭ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি তা চালিয়ে যেতে হবে। আমরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে হারিনি। এ দেশের জনগণ আমাদেরকে যে সমর্থন দিয়েছেন তা বিশ্বের কোথাও হয়েছে কিনা, আমার জানা নেই। 

সোমবার রাজধানীতে এক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দেশবরেণ্য রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে রাজধানীর মালিবাগ স্কাই সিটি হোটেলে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহদাত হোসেন সেলিম।

অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জালিমের কারাগার থেকে রমজানের আগেই বের হয়েছি। নেতাকর্মীরা আন্দোলনে ছিল। একটি সশস্ত্র সিন্ডিকেট আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিরীহ জনগণের প্রতিবাদ এর চেয়ে বেশি আর কি হবে? দেশের জনগণ সঠিকভাবে এর প্রতিবাদ করেছে। সরকার বিভিন্ন কায়দায় এ নির্বাচনকে নির্বাচন হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। নিজ দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়েছে আবার বিরোধী দলের সাথে বসে পিঠা ভাগাভাগি করেছে। বিশ্বে এমন উদার গণতন্ত্র দেখেছে বলে আমার মনে হয় না। সে গণতন্ত্রকে আমরা ধিক্কার জানাই।

এ আন্দোলনের পরাজয় হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা জনগণের ভোট ছিনতাই করেছে পরাজয় তাদের হয়েছে। ইতিহাসে এ দায় তারা কখনো মুছতে পারবে না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে আমার কিছুই হারাইনি। যারা সংসদ ছিনতাই করেছে তাদের কাছ থেকে জনগণের অধিকার ছিনিয়ে আনতে আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

১২ দলীয় জোটের ইফতারে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান,  আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, জাগপার একাংশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল ড. মশিউজ্জামান, জাগপার সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফ, গণঅধিকার পরিষদ একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনসুরুল হাসান রায়পুরী প্রমুখ।