বাংলাদেশকে কঠিন লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ৩০ ওভারের খেলায় নিউজিল্যান্ড করে ২৩৯। বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ২৪৫।
ডানেডিনে বৃষ্টি শঙ্কা আগেই বেঁধেছিল বাসা। খেলা মাঠে গড়ানোর আগেই যা রূপ নেয় বাস্তবতায়। নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। তবুও স্বস্তি মেলেনি, আরো দু'বার দেখা মেলে বৃষ্টির। ফলে কমে আসে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। ওভার আর সময়ের সমন্বয় ঘটাতে প্রয়োগ করা হয় বৃষ্টি আইন। খেলা নির্ধারণ করা হয় ৩০ ওভার করে।
দফায় দফায় বৃষ্টিই কেবল পারলো ডানেডিনে লাথাম-ইয়ং জুটিকে বাঁধতে। বোলাররাও পারলো বটে, তবে ততক্ষণে যা হবার হয়ে গেছে। ১৫৩ বলে ১৭১ রান এসেছে তাদের যুগলবন্দীতে। লাথাম যদিও ফিরেছেন শতক হাতছাড়া হবার আক্ষেপ নিয়ে, উইল ইয়ং ঠিকই পৌঁছেছেন তিন অংকের ঘরে।
অবশ্য শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট তুলে কাঁপিয়ে দিয়েছিল কিউইদের। রানের খাতা খুলার আগেই রাচিন রাবিন্দ্র ও হেনরি নিকোলসকে ফেরান শরিফুল ইসলাম।
তবে সেই চাপ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। যত সময় গড়িয়েছে, চোখ রাঙিয়েছে কিউইরা। অধিনায়ক লাথাম ও উইল ইয়ং মিলে নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছেন মোস্তাফিজ-মিরাজদের। শতকের খুব কাছে গিয়েও ৭৭ বলে ৯২ রানে আউট হন লাথাম। শেষ ওভারে এসে উইল ইয়ং ফেরেন ৮৪ বলে ১০৫ রানে।
শেষ ওভারে এসে তিন রান আউটে খানিকটা কমে রানের গতি। অন্যথায় সংগ্রহটা হয়তো হতে পারতো আরো বড়! বাকিদের মাঝে ১১ বলে ২০ রান করেন মার্ক চাপম্যান।