ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইনে আটকে পড়া প্রায় সাড়ে ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফেরত নিতে রাজি হয়েছে।
মঙ্গলবার দু'দেশের সীমান্তে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়।
ঐ বৈঠকের পর বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, তারা জিরো লাইনে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফেরত নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। কেননা এরা এখনও সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার ভূখন্ডের ভেতরেই রয়েছেন। তবে মিয়ানমার এদেরও একটি তালিকা তৈরি করতে আগ্রহী।
এই রোহিঙ্গারা বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে গত ছ'মাস ধরে আটকা পড়ে আছেন। আন্তর্জাতিক রেডক্রস এবং ইউএনএইচসিআর তাদের খাদ্য ও ত্রাণের ব্যবস্থা করছে। এদের ফিরিয়ে নেবার জন্য জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে এক বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছিল।
মঙ্গলবার দুই দেশের প্রতিনিধিদল নো-ম্যানস ল্যান্ডে তাদের শিবিরগুলো পরিদর্শন করে, এবং রোহিঙ্গা নেতাদের সাথেও দু'পক্ষের কথা হয়।
বাংলাদেশের শরণার্থী প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার আবুল কালাম বলেন, তারা বলেছে যে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ যদি তাদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে পারে তাহলে তারা তাদের গ্রামে ফিরে যেতে ইচ্ছুক।
বিবিসি বাংলাকে মি. কালাম বলেন, মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের আমরা বলেছি যেন তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেন, যেন রোহিঙ্গারা তাদের নিজ ভিটেতে ফিরে যেতে পারে।
“এই লোকগুলো যেহেতু এখনো বাংলাদেশের ভুখন্ডে নি এবং মিয়ানমারের সীমার ভেতরেই রয়েছে- তাই এদের কোন ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন নেই বলেই আমরা মনে করি। এ কথা আমরা মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের বলেছি।”
“তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে যারা নো-ম্যানস ল্যান্ডে আছে তাদের ফিরিয়ে নেবার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
তাদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কবে নাগাদ প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে তার কোন নির্দিষ্ট সময় মিয়ানমারের কর্মকর্তারা বলেন নি, জানিয়েছেন মি. কালাম।
“কোন নির্দিষ্ট তারিখ তারা দেয় নি” - বলেন তিনি।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবুল মান্নান বিবিসি বাংলাকে বলেন, আমরা ফলপ্রসু সভা করেছি। রোহিঙ্গাদের বক্তব্য শুনেছি। মিয়ানমারের কর্মকর্তারাও ছিলেন।
“রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিরা সামনা সামনি কথা বলেছে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে । তারা বলেছে তারা কি চায়” - বলেন মি. মান্নান। -বিবিসি
(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/১৯১০ঘ.)