বাতিল নয়, কোটা সংস্কারের পক্ষে সংসদীয় কমিটি

বাতিল নয়, কোটা সংস্কারের পক্ষে সংসদীয় কমিটি

ঢাকা, ২২ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নয়, যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ ক্ষেত্রে কমিটি কোটা পদ্ধতি ‘সহজীকরণের’ কথা বলেছে।

রবিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ কথা বলা হয়।

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের আন্দোলনের মুখে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটাপদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেন। তবে তিনি বলেছিলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী এ-ও বলেছিলেন, প্রয়োজন হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আছেন তিনি বিষয়টি দেখবেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও রবিবারের বৈঠকে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, কোটাপদ্ধতি নিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। নির্দেশনা পেলেই তারা পরবর্তী কাজ শুরু করবেন।

বৈঠক শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, ইতিহাসের প্রতি, দেশের প্রতি, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি কিছু দায়বদ্ধতা আছে। সংবিধানে সমতাবিধানের (ইকুইটি) কথা বলা আছে।

এসব বিষয় বিবেচনা নিয়ে যুক্তিযুক্তভাবে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করা প্রয়োজন, যাতে এটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। পাশাপাশি এটা নিয়ে যেন কোনো ষড়যন্ত্র বা দুরভিসন্ধি না হয়। কমিটি কোটাপদ্ধতি সহজীকরণের কথা বলেছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।

গত দুই মাস ধরে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে বলেন, কোটা নিয়ে যেহেতু এত কিছু, সেহেতু কোনো কোটাই আর রাখা হবে না।

ওই দিন কোটা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করার কথাও বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩২২ঘ.)