নীলক্ষেতে বই বিক্রেতাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

নীলক্ষেতে বই বিক্রেতাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

ঢাকা, ২০ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : রাজধানীর নীলক্ষেতে বই বিক্রেতাদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাবির পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বই কেনা নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের একপর্যায়ে আহত পাঁচ শিক্ষার্থীকে একটি দোকানে ঘণ্টাব্যাপী আটকে রাখা হয়। সংঘর্ষে এক কর্মচারী আহত হয়েছেন।

মারধরে আহত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের বাঁধন, দর্শন বিভাগের মাহিন, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের নিপুণ, প্রথম বর্ষের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের রুবেল এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের তালেখ। আহত কর্মচারীর নাম জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রথম বর্ষের এই শিক্ষার্থীরা বই কিনতে গিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে একই হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে আসে। পরে দোকানদাররা জড়ো হয়ে তাদের পাঁচজনকে মারধর করে মার্কেটের ভেতর নিয়ে আটকে রাখে। সঙ্গে সঙ্গে বইয়ের মার্কেটের ফটক বন্ধ দেয় বিক্রেতারা। এ ঘটনা শুনে রাত ৯টার দিকে ঢাবির বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করতে গেলে ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশের সহযোগিতায় পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই দোকানের একজন কর্মচারী বের হলে তাকে মারধর করে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ এসে এই কর্মচারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আহত শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বাঁধন বলেন, ‘আমাদের জুনিয়র প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দোকানদাররা খারাপ ব্যবহার করে। আমরা বিষয়টি জানতে ঘটনাস্থলে গেলে আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করা হয়। আমার মাথায় ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। পিঠ ও হাত জখম হয়েছে।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ লিমন বলেন, ‘আমার হলের পাঁচজন শিক্ষার্থীকে দোকানদাররা তুচ্ছ কারণে মারধর করে আটক করে রাখে। পুলিশের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, দোষীদের বিচার করতে হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১০৫০ঘ.)