কমিটিতে পর্যালোচনা

সরকার চাইলে কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে

সরকার চাইলে কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে

ঢাকা, ২৭ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মতামত পাওয়ার পর রবিবার আবারো বৈঠক করেছে কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সরকার গঠিত কমিটি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও কমিটি সূত্রে জানা গেছে, অ্যাটর্নি জেনারেল যে মতামত দিয়েছেন তার মর্মার্থ হলো, নির্বাহী বিভাগ তথা সরকার চাইলে কোটার বিষয়ে নতুন নীতিমালা বা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা নির্বাহী বিভাগের এখতিয়ার।

সচিবালয়ে কমিটির বৈঠকের পর জানতে চাইলে কমিটির সাচিবিক দায়িত্বে থাকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, কমিটি এখনো পর্যালোচনার মধ্যেই আছে, বিভিন্ন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে, এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এর বাইরে কিছু বলতে চাননি তিনি।

পরে কমিটির প্রধান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনিও এড়িয়ে যান। আরো দুই সদস্যও এড়িয়ে যান।

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটায় (৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা কোটা ও ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কোটা) নিয়োগের বিধান আছে। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধার ভিত্তিতে। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।

গত ২ জুলাই সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামত চায় কমিটি। ঈদের আগে গত সোমবার অ্যাটর্নি জেনারেল তার মতামত দেন। সুত্র: প্রথম আলো।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬১২ঘ.)