বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার

বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার

গোপালগঞ্জে শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুবিপ্রবি) ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান (২১) নামে এক ছাত্রের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত ১১ টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের চরসোনাকুড় এলাকার একটি মেস থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পু‌লিশ। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনার পূর্বে ওই ছাত্র তার নিজ হাতে লেখা একটি সুইসাইডাল নোট লিখে রেখে গেছেন। যা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

মেসের অন্য ছাত্ররা জানিয়েছেন, তারা আব্দুল্লাহ আল নোমানের রুমের সামনে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তারা রুমের দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। এমন অবস্থা দেখে নিউটন নামে অপর এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, চরসোনাকুড় এলাকার একটি মেস থেকে বশেমুরবিপ্রিবি’র ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নোমানের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফ্যান হুকের সাথে তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিলো। একতলা একটি বাড়িতে মেস করে ১৫ জন ছাত্র থাকেন। সে ওই মেসের একটি রুমে একা থাকতেন নোমান। তার বাড়ি চট্রোগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ রাজিউর রহমান জানিয়েছেন, ওই ছাত্রের মায়ের সাথে তিনি কথা বলেছেন। তার মা ছেলের মোবাইল ফোনে কল করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন রাত ৯ টার দিকে ছেলের সাথে তার কথা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য মলিকুলার বায়োলজি পরীক্ষার বিষয় নিয়ে ছেলে তার সাথে কথা বলেছেন। পরীক্ষার পর বাড়িতে যাবে বলেও মাকে জানিয়েছিলো নোমান। তার বাবা বেঁচে নেই বলেও বলে জানিয়েছেন প্রক্টর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান নোমানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এমজে/