ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু’র ভিপি নুরুল হক নূরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন অংশ নেন।
এসময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ এবং ছাত্রলীগকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করার আহবান জানান তারা। পাশাপাশি গতকালের হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আন্দোলনকারীরা।
এ সময় তারা ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই হবে একসাথে’, ‘নির্লজ্জ প্রক্টর, ধিক্কার ধিক্কার’, ‘ছাত্রলীগের কালো হাত ভেঙে দাও’, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘শিক্ষা সন্ত্রাস একসঙ্গে চলে না’– এ স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন গোটা ক্যাম্পাস।
সমাবেশে ডাকসু সমাজসেবা সম্পাদক আখতার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস চলতে দেয়া হবে না। যে প্রক্টর সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ছাত্রদের রক্ষা করতে পারেন না, তার পদে থাকার কোনো বৈধতা নেই। অবিলম্বে তার পদত্যাগ করতে হবে। আমরা প্রক্টরকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছি। আমরা জানতে চাই– আপনারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? এ সময় শিক্ষার্থীরা সমস্বরে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।
উল্লেখ্য, রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।
এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।
এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।