শাবির ইউএনবি প্রতিনিধির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

শাবির ইউএনবি প্রতিনিধির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউএনবি প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সদস্য হাবিবুল হাসান রিজভীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন তার বিভাগের এক ছাত্রী।

হাবিবুল হাসান রিজভী বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী এই ছাত্রী রিজভীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেলে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

প্রতিবেদকের কাছে এই অভিযোগের কপি রয়েছে। অভিযোগ পত্রে ঐ ছাত্রী উল্লেখ করেন, সাংবাদিক পরিচয়ে রিজভী তাকে অনবরত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন, প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করছেন।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে আসার কিছুদিন পর বিভাগের সিনিয়র রিজভীর সাথে আমার পরিচয় হয়। এভাবে তার সাথে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই সে আমার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে থাকে। আমি তাকে বোঝাতে ব্যর্থ হলে আমার সহপাঠীরাও তাকে বোঝাতে চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে রিজভী আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, সে (রিজভী) রাস্তায় আমার পথ আটকে রাখে, গালিগালাজ করে, ফোনে হুমকি দেয়। বিভিন্ন ফোন নম্বর থেকে কল করে আমাকে হুমকি দিয়েই যাচ্ছে। আমার ছবি দিয়ে ফেসবুকে ফেইক একাউন্ট খুলেছে। এতে আমার লেখাপড়ায় খুবই বিঘ্ন ঘটছে এবং আমি চরম অনিরাপত্তায় ভুগছি।

সাংবাদিক হওয়ায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সাথে রিজভীর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ফলে ঐ ছাত্রী তার (রিজভী) কিছুই করতে পারবে না বলেও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। অনিরাপত্তা ও দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেলের সহযোগিতা কামনা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ঘটনা সত্য। এই বিষয়ে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেলে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ম্যাডাম ওর বিরুদ্ধে কি ব্যবাস্থা নিয়ে আমাকে জানাবে বলছে, এখন পর্যন্ত কি ব্যবাস্থা নিয়েছে জানিনা। ম্যাডাম বলছে আমাকে জানাবে।

হাবিবুল হাসান রিজভী বলেন, আমরা দুজনের মাঝে রিলেশন ছিলো। একটি বিষয় নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে তা আবার সমাধান হয়েছে গেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার না করার জন্য অনুরোধ করে রিজভী।

এ বিষয়ে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেলের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাজিয়া চেীধুরী বলেন, মেয়েটি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। ছেলেকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয়েছি যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।