শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ঢাবিতে বৃহ্স্পতিবার সংহতি সমাবেশ হবে

শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে ঢাবিতে বৃহ্স্পতিবার সংহতি সমাবেশ হবে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। ছবি-সংগৃহীত

ঢাকা, ১৭ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : শহীদ মিনারে শিক্ষকদের লাঞ্ছনা ও ছাত্রদের ওপর হামলা করার প্রতিবাদে আগামী বৃহস্পতিবার সংহতি সমাবেশ করবেন নীপিড়নবিরোধী শিক্ষকরা। ওইদিন সকাল ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা।

সংহতি সমাবেশ ছাড়াও আরো তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

কর্মসূচি গুলো হল- আগামী ২৩ জুলাই কলা ভবনের সামনের বটতলায় নিপীড়নবিরোধী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষক সমিতির কাছে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অবিলম্বে পত্র পাঠানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্বতা রক্ষা, অ্যাকাডেমিক মান সমুন্নতি রাখা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চ্যান্সেলরের কাছে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের উদ্যোগে স্মারকলিপি প্রদান।

লিখিত বক্তব্যে সামিনা লুৎফা বলেন, কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি হামলার পরই কেবল আমরা স্বাধীন চিন্তার নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকরা এই আন্দোলনের ঘটনা প্রবাহের দিকে মনোযোগী হয়েছি। এই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের মারধর ও ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকরা আমরা এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে আমাদেরকে ছাত্রলীগ ন্যাক্কারজনকভাবে লঞ্ছিত করে।

তিনি আরো বলেন, এরকম একটি পরিস্থিতিতে সেই সমাবেশস্থলে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ বাহিনীর কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এ ঘটনার অনেক পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান, তাও শিক্ষকরা ডাকার পর। প্রক্টর গণমাধ্যমে এই ঘটনার জন্য শিক্ষকদেরই দায়ী করেন। তার এই বক্তব্য নিয়ে আমরা অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ।

সংবাদ সম্মেলনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক বলেন, শিক্ষকদেরকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটলেও শিক্ষক সমিতি এখনও কোনো বক্তব্য দেয়নি, আমাদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী শিক্ষক রুশাদ ফরিদী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মান্নান, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মুরাসির কামাল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান।

উল্লেখ্য, গত রবিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়র শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মারধর করে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬০৬ঘ.)