স্বামীকে রাস্তায় বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ

স্বামীকে রাস্তায় বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ

চট্টগ্রামে এক দম্পতিকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যাওয়ার পর স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে বায়েজিদ থানার মধ্যম শহীদ নগর এলাকার সালমা কলোনিতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সেখান থেকে মো. বাদশা মিয়া (৩৬), মো. জাবেদ (২৮), মো. রবিন (১৯) ও মো. ইব্রাহীম (৩০) নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আশিকুর রহমান জানান।

তিনি বলেন, ওই দম্পতি রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওয়াপদা গেইট থেকে বাসায় ফেরার পথে অক্সিজেন মোড়ের আলপনা কমিউনিটি সেন্টারের কাছে শফি নামের এক যুবক তাদের পথরোধ করে পরিচয় জানতে চায়।

‘তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিলে শফি তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এবং ফোন করে বাদশা, জাবেদ, রবিন ও ইব্রাহীমকে ডেকে আনে।’

গ্রেপ্তার বাদশা একজন অটোরিকশার চালক। তার অটোরিকশায় করেই ওই দম্পতিকে শহীদ নগর এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের কিছুক্ষণ ঘুরিয়ে ওই দুইজনকে তারা সালমা কলোনির একটি বাসায় নিয়ে যায়।

বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, ‘স্বামীকে অটোরিকশায় আটকে রেখে তারা পাঁচ জন মিলে ওই নারীকে ওই বাসায় ধর্ষণ করে। ৯৯৯ এ খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল রাত ২টার দিকে সেখানে গিয়ে প্রথমে স্বামীকে উদ্ধার করে এবং বাদশা ও রবিনকে আটক করে। পরে কলোনির এক বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই গৃহবধূকে।’

ওই গৃহবধূর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে জাবেদ ও ইব্রাহীমকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তবে শফি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানান ওসি প্রিটন সরকার।

ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। তার স্বামী বায়েজিদ থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।