কোনও ধরণের প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ করে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে আজ সোমবার থেকে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেনি।
টিসিবি বলছে, এখনো পেঁয়াজ ক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়নি। যেসব বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয় সেখান থেকে কেনার কথাবার্তা চলছে। আজকে যদি কেনা সম্ভব হয় তবে সেগুলা ঢাকায় এনে আবার ডিলারদের কাছে সরবরাহ করার বিষয় রয়েছে। সে হিসেবে আগামীকালও মঙ্গলবার বিক্রি শুরু করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এ বিষয়ে টিসিবির তথ্য প্রদানকারী মো. হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পেঁয়াজ কেনার জন্য কাজ শুরু হয়েছে। তবে আজকে হয়তো বিক্রি শুরু করা সম্ভব হবে না।’
দেশে পেঁয়াজের বাজার চরম অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে গত রবিবার বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি মিটিং হয়। এখানে বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার একটি ছিল আজ থেকে টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা। এছাড়া বন্দরে আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত খালাস করা, পরিবহনের নির্বিঘ্ন চলাফের চিশ্চত করা, পেঁয়াজ আমদানিতে এলসি মার্জিন ও সুদের হার হ্রাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে পত্র দেওয়ার মত কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে ভারতে পেঁয়াজের নূনতম রপ্তানি মূল্য ৮৫০ ডলার বেধে দেওয়া হয় গত শুক্রবার। এই খবরের পর থেকেই দেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। আজ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ একই দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদরের গুণতে হচ্ছে ৮০ টাকা। যা গত শুক্রবারও ছিল ৫০-৫৫ টাকা।
এমআই
