ঈদের আগে খুলছে না বসুন্ধরা সিটি-যমুনা ফিউচার পার্ক

ঈদের আগে খুলছে না বসুন্ধরা সিটি-যমুনা ফিউচার পার্ক

আসন্ন ঈদ-উল ফিতরের আগে সরকার দোকান ও শপিং মলগুলো খোলার সুযোগ দিলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে খুলছে না রাজধানীর অভিজাত শপিং মল বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্ক। ঢাকার এই দুটি শপিং মলের কর্তৃপক্ষ বুধবার গণমাধ্যমের কাছে তাদের মল না খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের মধ্যে টানা এক মাস বন্ধ থাকার পর গত সোমবার সরকার শপিং মলগুলো ১০ মে থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা) শর্ত সাপেক্ষে খোলা রাখার অনুমতি দেয়। যখন দেশে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, ঠিক তখন শপিং মলগুলো খুলতে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার।

কারওয়ান বাজারের বসুন্ধরা সিটি এবং কুড়িলের কাছে অবস্থিত যমুনা ফিউচার পার্ক ঢাকার সবচেয়ে বড় শপিং মল। যেখানে ঈদের সময় ব্যাপক ক্রেতা-সাধারণের ভিড় হয়।

বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শপিং মলটি না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ কেনাকাটার জন্য আসে। ঈদের আগে এই ক্রেতা সাধারণের সংখ্যা আরো বাড়ে। এই মহাসঙ্কটের সময়ে আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না। আগে মানুষের জীবন, তার ব্যবসা; এই উপলব্ধি থেকেই আমরা শপিং মল না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

আবু তৈয়ব বলেন, ‘বসুন্ধরা সব সময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকে। মানবতার কথা চিন্তা করেই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। করোনাভাইরাস মহামারীর শুরু থেকেই তিনি মানুষের পাশে আছেন। শপিং মল না খোলা তার আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।’

এদিকে যমুনা ফিউচার পার্কের মালিকানা কর্তৃপক্ষ যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই মহামারীর সময়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না আমরা। সে কারণেই এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারপর খুলবো।’