আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ালো সরকার

আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ালো সরকার

সরকার আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও দাম বাড়াতে হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজার অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য সমন্বয়ের লক্ষ্যে জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্তে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের পরিশোধনকারী মিল ও ভোক্তাদের স্বার্থ বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৫ মার্চ) অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন পরিবেশক নিয়োগ আদেশ-২০১১ অনুযায়ী গঠিত জাতীয় কমিটিতে ভোজ্যতেলের মূল্য ও সরবরাহ বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বিস্তারিত নিরীক্ষার পর অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয়।

সরকার নির্ধারিত ভোজ্যতেলের দাম

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ লিটার লুজ অর্থাৎ খোলা সয়াবিন তেল মিলগেটে বিক্রি হবে ১১৩ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে বিক্রি হবে ১১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রেতার কাছে তা বিক্রি করতে পারবে ১১৭ টাকা দরে। এমন মূল্য সীমা নির্ধারণ করা হয় বৈঠকে। একইভাবে ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলগেটে বিক্রি হবে ১২৭ টাকা দরে, তা পরিবেশক বা ডিলারের কাছে ১৩১ টাকা, এবং সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি হবে ১৩৯ টাকা দরে। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম মিলগেটে ৬২০ টাকা, ডিলারের কাছে ৬৪০ টাকা এবং খুচরা বিক্রেতার জন্য সর্বোচ্চ মূল্য ৬৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ১ লিটারের পাম লুজ (সুপার) তেলের দাম মিলগেটে ১০৪ টাকা, ডিলারের কাছে ১০৬ টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল্য ১০৯ টাকা নির্ধারিত হয়।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তখনকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বলা হয়েছিল, খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন প্রতিলিটার ১১৫ টাকা, বোতলজাত ১৩৫ এবং পাম সুপার তেল প্রতিলিটার ১০৪ টাকায় বিক্রি হবে। খোলা সয়াবিন প্রতিলিটার মিল গেটে ১০৭, পরিবেশক পর্যায়ে ১১০ ও খুচরা ১১৫ টাকায় বিক্রি হবে। বোতলজাত সয়াবিন প্রতিলিটার মিল গেটে ১২৩, পরিবেশক পর্যায়ে ১২৭ ও খুচরা ১৩৫ টাকা বিক্রি হবে। এছাড়া সয়াবিনের ৫ লিটার বোতল মিল গেটে ৫৯০, পরিবেশক পর্যায়ে ৬১০ ও খুচরা ৬৩০ টাকা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় দর নির্ধারণ কমিটি। অপরদিকে ভোজ্যতেল হিসেবে বিক্রি হওয়া পামসুপার তেল মিল গেটে প্রতিলিটার ৯৫, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৮ ও খুচরা পর্যায়ে ১০৪ টাকায় বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দর নির্ধারণ কমিটি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্য ও এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয় সমন্বয়পূর্বক যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যনের নেতৃত্বে জাতীয় মূল্য পর্যবেক্ষণ ও নির্ধারণ কমিটি কাজ করছে।