মডেল পিয়াসার দুই সহযোগী মিশু ও জিসান রিমান্ডে

মডেল পিয়াসার দুই সহযোগী মিশু ও জিসান রিমান্ডে

মডেলদের নিয়ে পার্টি ও বিদেশে প্লেজার ট্যুরের আয়োজক ও মডেল পিয়াসার দুই সহযোগী শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের বিরুদ্ধে পৃথক চার মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) মো. মামুনুর রশিদের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিন ভাটারা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি মিশু হাসানকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনের পৃথক তিন মামলায় ১০ দিন করে মোট ৩০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আদালত মিশুর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় ৫ দিন, মাদক মামলায় ৩ দিন এবং পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় ১ দিনসহ তিন মামলায় মোট ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে জিসানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জিসানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিন দিন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় ১ দিনসহ দুই মামলায় মোট ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও তার সহযোগী মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি অস্ত্র, ৬ রাউন্ড গোলাবারুদ, ইয়াবা ১৩ হাজার ৩০০ পিস, ১টি ফেরারি গাড়ি, সিসার সরঞ্জামাদি, ২টি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই ও এটিএম কার্ড, পাসপোর্ট এবং ভারতীয় ৪৯ হাজার ৫০০ জালমুদ্রা।

র‌্যাবের মুখপত্র খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্য প্রায় ১০/১২ জন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকা, বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা করে থাকে। পার্টিতে অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে।

অংশগ্রহণকারীরা সাধারণত উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য। প্রতিটি পার্টিতে ১৫-২০ জন অংশ নিতো। এছাড়া বিদেশেও প্লেজার ট্রিপের আয়োজন করতো তারা। একইভাবে উচ্চবিত্তের প্রবাসীদের জন্যেও দুবাই, ইউরোপ ও আমেরিকায় এ ধরনের পার্টির আয়োজন করা হতো। তারা ক্লায়েন্টদের গোপন ছবি ধারণ করে অপব্যবহার করতো বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।