রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে ফের চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এই আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মডেল মৌকে আবারও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে সিআইডি। রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন রিমান্ড নাকচ করে জামিনের আবেদন করেন।
এরপর রিমান্ডের পক্ষে ঢাকা মহানগর আদালতের সরকারি কৌঁসুলী (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু শুনানিতে বলেন, আসামি মৌ নিজের বাসায় তরুণ-তরুণীদের নিয়ে মদের আসর জমাতেন। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে তাদের খুঁজে বের করতে এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
অপরদিকে মৌয়ের আইনজীবী আব্দুল বাতেন শুনানিতে বলেন, ‘মৌ মাদকের সঙ্গে জড়িত না। তিনি শুধুমাত্র একজন নৃত্যশিল্পী, কোনো মডেলও না। শুধু মিডিয়াই তাকে মডেল বানিয়েছে।’
আইনজীবী আরও বলেন, মামলায় যে বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, সে বাড়িটি আসামি মৌয়ের না। এটা তার শ্বশুরের বাড়ি। শ্বশুরের চার ছেলে ওই বাড়িতেই থাকেন। এই আসামি তার পরিবার-পরিজন নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করেন। কীভাবে সেখানে মদের আসর বসাবে এ আসামি। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় তার রিমান্ড নামঞ্জুর করা হোক।
এর পরে মডেল মৌ আদালতে বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি মদও খাই না, ইয়াবাও খাই না। আমার বিরুদ্ধে করা মামলা সাজানো।’
এর আগে গত ২ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালত মডেল মৌকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তিন দিন করে রিমান্ড দেন। সেই রিমান্ড শেষে হলে তাকে আবারও আদালতে হাজির করা হয়েছে।
গত ১ আগস্ট রাতে মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাসা থেকে মডেল মৌ আক্তারকে আটক করে পুলিশ। এ সময় মাদক জব্দ করা হয়।
