আটকের পর যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হলো খাবি লেইমকে

আটকের পর যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হলো খাবি লেইমকে

ভিসাশর্ত লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানবন্দরে আটকের পর স্বেচ্ছায় দেশটি ছেড়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিকটকার খাবি লেইম।

শুক্রবার (৬ জুন) লাসভেগাস শহরের হ্যারি রেইড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন অভিবাসন ও শুল্কপ্রয়োগকারী সংস্থার (আইসিই) কর্মকর্তাদের হাতে আটক হন তিনি।

তবে, কোনো নির্বাসন আদেশ ছাড়াই তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বেচ্ছাপ্রস্থানের অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির এক মুখপাত্র।

২৫ বছর বয়সী এই সামাজিকমাধ্যম তারকার (ইনফ্লুয়েন্সার) পুরো নাম সেরিঞ্জে খাবানে লেইম। জন্ম সেনেগালেও হলেও শৈশবে বাবা-মায়ের সঙ্গে ইতালিতে পাড়ি জমান তিনি। পরে, ইতালির নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন।

আইসিই জানিয়েছে, খাবি লেইম ৩০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ভিসার শর্ত ভঙ্গ করে দেশটিতে অবস্থান করছিলেন তিনি। তাকে স্বেচ্ছাপ্রস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি হারিয়ে স্বেচ্ছাপ্রস্থান করা ব্যক্তিরা ডিপোর্টেশন অর্ডার এড়াতে পারেন। এই আদেশে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপ দিনদিন আরও জোরালো করছে। এরমধ্যেই দেশটির লস অ্যাঞ্জেলেসসহ বিভিন্ন জায়গায় আইসিইর অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্প তার নির্বাহী ক্ষমতার সীমা পরীক্ষা করছেন। এমন এক সময়েই জনপ্রিয় এ ইনফ্লুয়েন্সারের আটক ও স্বেচ্ছাপ্রস্থানের ঘটনাটি ঘটলো।

এ বিষয়ে জানতে, মঙ্গলবার (১০ জুন) তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া ইমেইলে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তিনি এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোন মন্তব্যও করেননি।
খাবি লেইম কোভিড-১৯ মহামারির সময় প্রথম আলোচনায় আসেন। সংলাপহীন ভিডিওর মাধ্যমে জটিল ও অপ্রয়োজনীয় লাইফ হ্যাকগুলোর সোজাসাপ্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে তিনি সামাজিক মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম টিকটকে তার অনুসারীর সংখ্যা ১৬ কোটি ২০ লাখের বেশি।

টিকটকে খ্যাতি পাওয়ার পর তিনি দ্রুতই ফ্যাশন ও মানবিক কাজে যুক্ত হন। ২০২২ সালে তিনি নামকরা ফ্যাশন ব্র্যান্ড হুগো বসের সঙ্গে কয়েকবছরের চুক্তি করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও নিযুক্ত হয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের কয়েকদিন পর গত মে মাসে নিউইয়র্কে ফ্যাশন দুনিয়ার অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন অনুষ্ঠান মেট গালায় অংশ নেন তিনি।