ফেসবুকের ৫৩ কোটি ৩০ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডাটা ফাঁস

ফেসবুকের ৫৩ কোটি ৩০ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডাটা ফাঁস

ফাঁস হয়ে গেছে ফেসবুকের কমপক্ষে ৫৩ কোটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডাটা। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব ডাটা পুরনো। এ খবর দিয়ে অনলাইন অ্যাক্সিওজ বলেছে, একজন তথ্য ফাঁসকারী শনিবার বলেছেন, তারা ফেসবুকের ৫৩ কোটি ৩০ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করছে। এর মধ্যে রয়েছে তাদের ব্যক্তিগত ফোন নম্বর, অবস্থান, জন্ম তারিখ, জীবনবৃত্তান্ত, ইমেইল ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব তথ্য ২০১৯ সালের আগস্টে ফাঁস হয়েছিল। কিন্তু তা তখনই ঠিকঠাক করে ফেলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও ব্যবহারকারীদের আতঙ্ক কাটছে না। কারণ, এসব ডাটা ফ্রিতে পাওয়া যয়। তা ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা একজন মানুষের ব্যক্তিগত সব তথ্য নিয়ে তাকে যেকোনো ফাঁদে ফেলাতে পারে।

হাডসন রক নামের সাইবারক্রাইম গোয়েন্দা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সিটিও অ্যালন গাল বলেন, সাইবার অপরাধীরা এসব তথ্য ব্যবহার করে যেকোনো ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে। ফাঁস হওয়া এসব ডাটার মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের রয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ, বৃটিশদের এক কোটি ১০ লাখ, ভারতের ৬০ লাখ ব্যবহারকারীর ডাটা।

অ্যালন গাল বলেন, ফোন নম্বরসহ এত বিশাল পরিমাণ ডাটা প্রকাশ হয়ে পড়ায় তা কুচক্রী মহলের দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে এমন নয়। তারা সামাজিক মাধ্যমে এসব ব্যবহার করে হ্যাকিং করার চেষ্টা করতে পারে। এক্ষেত্রে ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা আস্থা ভঙ্গের আশঙ্কায় ভুগতে পারেন এবং কর্তৃপক্ষের সে মতো ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

অ্যালন গালের মতে, এই ফাঁসের ফলে ব্যবহারকারীদের যে ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে ফেসবুক তাদেরকে কোনো সাহায্য করতে পারবে না, তারা যতই ঠিকঠাক করুক। কারণ, এরই মধ্যে ফাঁস হওয়া ডাটা বিভিন্ন স্থানে পোস্ট করা হয়ে গেছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নোটিফাই করতে পারে ফেসবুক। তাদেরকে বলতে পারে যে তাদের এই একাউন্টগুলো প্রতারণার শিকারে পরিণত হয়েছে। ফলে তারা যেন সে মতো ব্যবস্থা নিতে পারেন। ওদিকে অ্যাক্সিওজের স্কট রোজেনবার্গ বলেন, ফেসবুকে যখনই আপনি কোনো তথ্য পোস্ট করেন, অথবা কোনো পোস্ট দেন, এর অল্প সময় পরেই তা পাবলিক হয়ে যায়। অর্থাৎ তা প্রকাশিত হয়। যদি এক্ষেত্রে আপনি ওই তথ্যকে প্রাইভেট হিসেবে রাখেন অথবা কোনো সুনির্দিষ্ট বন্ধুর মধ্যে সীমিত রাখেন, তাতেও তা এক সময় সবার সামনে চলে আসে। ফলে এজন্য কোনো ব্যবহারকারীকে সুরক্ষা দেয়ার দায় এড়াতে পারে না ফেসবুক। তবে এটা বলা যায়, ফেসবুক ব্যবহারকারীকে নিজেকে তার নিজের মতো সুরক্ষিত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

এমজে/