কোরআন নিয়ে মহাকাশে আমিরাতি নভোচারী

কোরআন নিয়ে মহাকাশে আমিরাতি নভোচারী

সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের ‘মিশন-১’ মহাকাশ কর্মসূচির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) প্রথমবারের মতো নিজেদের নাম লিখিয়েছে। এটি আরব আমিরাতের জন্য এক বিশেষ অর্জন এবং এর মাধ্যমে মহাকাশে দেশটির পতাকা উড্ডয়নের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

আমিরাতের প্রধান নভোচারী হাজজা আল মানসুরি রাশিয়ার কমান্ডার ওলেগ স্ক্রিপোচকা এবং নাসা নভোচারী জেসিকা মেয়ারের সাথে থেকে সয়ুজ এমএস-১৫ মহাকাশযানে করে বুধবার সন্ধ্যা ৭.৫৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।
কাজাখস্তানের বাইকনুর কসমোড্রোম মহাকাশ পোর্ট থেকে তাদের যাত্রা শুরু হয়, এখান থেকেই ১৯৬৯ সালের এপ্রিল মাসে রাশিয়ান মহাকাশচারী ইউরি গ্যাগারিন প্রথম মানুষ হিসেবে মহাকাশে যাত্রা করেছিলেন।

এই নভোচারীদের বহনকারী যানটি মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছাতে প্রায় ছয় ঘন্টা সময় নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ থেকে বেরিয়ে যেতে তাদের সময় লেগেছে মাত্র নয় মিনিট।

এটিই হচ্ছে প্রথম কোনো আরব দেশ হিসেবে আমিরাতের মহাকাশ যাত্রা। ১৯তম দেশ হিসেবে তারা এই গৌরব অর্জন করতে যাচ্ছে। নভোচারী হাজজা আল মানসুরি ২৪০তম দর্শনার্থী হিসাবে মহাকাশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

এই মহাকাশ যাত্রায় রিজার্ভ নভোচারী হিসেবে বাইকনুর কসমোড্রোমে উপস্থিত ছিলেন আরেক আমিরাতি নভোচারী সুলতান আল নেয়াদি সহ নাসার টমাস মার্শবার্ন এবং রাশিয়ান কমান্ডার সের্গেই রাইহিকোভ।

এর আগে আমিরাতের প্রধান নভোচারী হাজজা আল মানসুরি এফ-১৬ জেটের মিলিটারী পাইলট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৪০২২ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে তিনি আরব আমিরাতের প্রথম নভোচারী হিসেবে নির্বাচিত হন। আল মানসুরি ২০০৪ সালে আবুধাবির খলিফা বিন জায়েদ এয়ার কলেজ থেকে বিমান সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন।

আল মানসুরি তার এ মহাকাশ যাত্রায় সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন পবিত্র কুরআনের একটি কপি, শতভাগ রেশম দ্বারা তৈরি সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি পতাকা, আল গাফ গাছের ৩০টি বীজ ,আমিরাতি খাবার, তার পরিবারের ছবি এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র।

হাজজা আল মানসুরি আট দিন মহাকাশে অবস্থান করবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৩ অক্টোবর বিকেলে তিনি পৃথিবীতে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এমআই