অভিশংসন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিচার চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ তাকে অভিশংসিত করতে পারবে না বলেও বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের। খবর ফক্স নিউজের।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, যে অভিযোগের ভিত্তিতে তার অভিশংসন চাওয়া হচ্ছে তা সঠিক নয়। এতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। অভিশংসন তদন্তে দুই সপ্তাহে অন্তত ১২ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যের পর এ মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপের ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি সামনে আসে।
ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরাতে তদন্ত শুরু করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। তবে এই তদন্তকে ন্যাক্কারজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প।
শুক্রবারও ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস অনুষ্ঠানে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, শুনানিতে অংশ নিয়ে দুই প্রত্যক্ষদর্শী মিথ্যা বলেছেন। তারা হলেন- ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা ডেভিড হোমস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত গর্ডন সোদল্যান্ড। ট্রাম্প বলেন, খোলাখুলি বলি, আমি বিচার চাই।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের হাতে। তাদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হচ্ছে অভিশংসন তদন্ত।
এটি শেষ হলে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হতে পারে। তারপর সিনেটে বিচার অনুষ্ঠিত হবে।
সেখানে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় দোষী প্রমাণিত হলে ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। তবে সিনেটের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রিপাবলিকানদের হাতে। তাকে সরানোর ক্ষেত্রে তাদের সমর্থনও খুব সীমিত।
বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, পরিস্কার প্রমাণ রয়েছে যে ট্রাম্প ব্যক্তিগত স্বার্থে তার ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন। আর তা করতে গিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এমজে/
