পশ্চিমবঙ্গের তিন উপনির্বাচনে মমতার দলের বাজিমাত

পশ্চিমবঙ্গের তিন উপনির্বাচনে মমতার দলের বাজিমাত

আগামী ২০২১ সালের সাধারণ নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি উপনির্বাচনে বিজেপি’র চ্যালেঞ্জকে উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সবক’টি আসনেই জয়ী হয়েছে।

বিজেপির জয়ী খড়গপুর আসনটিতেও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুর আসনেও তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত হয়েছে। করিমপুর আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসেরই দখলে ছিল। উপনির্বাচনে অভাবনীয় এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির ‘ঔদ্ধত্য ও অহংকার’-কে মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। যখন তখন যেকোনো রাজ্যে যা খুশি করছে। বিজেপি কখনো এনআরসি, কখনো অন্য কিছু নিয়ে যা খুশি প্রচার করছে। এই মানুষরাই দীর্ঘ দিন ধরে ভোট দিয়েছেন, এমপি-এমএলএ বানিয়েছেন, সমস্ত কাজ করেছেন।

আর এখন ওরা (বিজেপি) বলছে, নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। এর সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন,অর্থনীতির খারাপ হাল। মানুষ কাজ পাচ্ছেন না, উল্টে কাজ হারাচ্ছেন। যুব সমাজের কাছে কোনো দিশা নেই। উপনির্বাচনের এই জয়কে তিনি রাজ্যের মানুষকে উৎসর্গ করেছেন। এদিন তিনি ফের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি)’র বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন। তবে মমতা দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমাদের আরো নম্র হতে হবে। মানুষের পাশে থাকতে হবে। উপনির্বাচনে জয়ী মমতার স্লোগান, ১-২-৩ বিজেপিকে বিদায় দিন। গত ২৫শে নভেম্বর খড়গপুর, কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুরে উপনির্বাচন হয়েছে। তিনটি বিধানসভা আসনই শূন্য হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই দাপট দেখিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ৬ মাস আগের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিই এগিয়ে ছিল। এ ছাড়া এই দুটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস অতীতে কখনও জয়ী হয়নি। উপ-নির্বাচনের এই জয়কে এনআরসি’র বিরুদ্ধে মানুষের মতামতের প্রতিফলন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।