আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মুহিউদ্দিন: মাহাথির

আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মুহিউদ্দিন: মাহাথির

অবশেষে রাজনীতির খেলায় হেরেই গেলেন মালয়েশিয়ার ঝানু রাজনীতিক, আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার ড. মাহাথির মোহাম্মদ। তাকে টেক্কা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মুহিদ্দিন ইয়াসিন।

এতে আজ রবিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির মনের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বলেছেন, আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। বিশেষ করে মুহিউদ্দিনের পক্ষ থেকে এটা বেশি করা হয়েছে।

ইয়াইয়াসান আল বুখারিতে সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির আরো বলেন, মুহিদ্দিন ইয়াসিন দীর্ঘদিন তার এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিলেন। এখন তিনি সেই বিশ্বাসঘাতকতায় সফল হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার অনলাইন দ্য স্টার।

আজমিন আলীর ওপর তিনি হতাশ কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহাথির বলেন, আজমিনের নিজস্ব এজেন্ডা ছিল। এই পুরো এজেন্ডা ছিল তার। আর সে মুহিউদ্দিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে তা নিয়ে। পাকাতান হারাপান জোটের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে মাহাথির বলেন, জরুরি ভিত্তিতে পাকাতান জোট পার্লামেন্টারি অধিবেশন ডাকবে।

তিনি বলেন, আমরা দেখবো (এমপিদের পক্ষ থেকে) কার কত সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন আছে।
ড. মাহাথির আরো বলেন, এখন থেকে বিরোধী অবস্থানে যাবে পাকাতান জোট।

এ অবস্থায় নিজের দল পার্তি প্রিবুমি বারসাতু মালয়েশিয়ার ভবিষ্যত কি হবে?
এমন প্রশ্নের জবাবে মাহাথির বলেন, এটা এখন নির্ভর করে দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর। তারা আমাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কার করবে নাকি রাখবে সে সিদ্ধান্ত দল নেবে। বারসাতুর সংখ্যাগরিষ্ঠরা আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ফলে কিছু একটা তো হতে যাচ্ছে। তারা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে বহিষ্কার করতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী পদ ত্যাগ করার জন্য তিনি অনুশোচনা বোধ করেন কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে মাহাথির বলেছেন, তার সামনে এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না। তার ভাষায়- আমি দেখেছি উমনো এন-ব্লককে নিয়ে বারসাতু জোট গঠন করতে যাচ্ছে। তখন (পদত্যাগ করা ছাড়া) আমার সামনে আর কোন বিকল্প ছিল না। এর অর্থ হলো, যাদের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করেছি তাদেরকে মেনে নিতে হবে। এটা করতে আমি প্রস্তুত নই। তাই মুহিউদ্দিন এটা করতে প্রস্তুত ছিলেন।