বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস: প্রাণহানি প্রায় ৩ হাজার

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস: প্রাণহানি প্রায় ৩ হাজার

অস্ট্রেলিয়া এবং থাইল্যান্ডেও প্রাণ গেছে দুজনের। ইরানে নতুন করে প্রাণ গেছে ১১ জনের। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে প্রাণহানির সংখ্যা তিন হাজারের কাছাকাছি। আক্রান্ত ৮৫ হাজারেরও বেশি।

প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ গেছে ৫০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। দেশটি বলছে, সাম্প্রতিক সময় চীন কিংবা আক্রান্ত কোনো দেশে যাননি মারা যাওয়া ব্যক্তি। নতুন রোগী শনাক্তের জেরে ওয়াশিংটনে করোনা জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

এছাড়া, জাপানের প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে ফেরত আনা করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির প্রাণ গেছে অস্ট্রেলিয়ায়। থাইল্যান্ডেও প্রথমবারের মতো মারা গেছেন একজন।

অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান এ্যান্ড্রু রবার্টসন বলেন, ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে যাদের ফেরত আনা হয়েছিল তাদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত। এরইমধ্যে ৭৮ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার স্ত্রীও আক্রান্ত এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চীনের বাইরে করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটছে ইরানে। এছাড়া ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইকুয়েডর, কাতারে নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৫ দিনের এক শিশু।

করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতালি, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বিমান চলাচল বন্ধ করেছে, তুরস্ক। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধ করেছে, রাশিয়া। ইতালির মিলানে বিমান চলাচল বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের এক নাগরিক বলেছেন, 'অন্য দেশ থেকে আসা ভাইরাস নিয়ে এখন লড়ছে ইরান। সব দেশ আমাদের সাথে যাতায়াত বন্ধ করছে। এতে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।'

ব্যবসা বাণিজ্যে বড় ধস নেমেছে। বাজারে মাস্কের দামও অনেক চড়া। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের পড়ালেখায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

এক সপ্তাহ পর চীনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বেড়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-নাসা জানায়, করোনায় চীনের কল-কারখানা বন্ধ থাকায় বায়ু দুষনের পরিমাণ অনেক কমেছে।