করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুদান বন্ধ করে দিলেন ট্রাম্প

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অনুদান বন্ধ করে দিলেন ট্রাম্প

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কে অনুদান বন্ধ করে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, ডব্লিউএইচও’কে অনুদান বন্ধের জন্য তিনি তার প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জাতিসংঘের সংস্থাটির বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, ভাইরাসটি চীনে উদ্ভূত হওয়ার পর থেকে এটির বিস্তার গোপন করা এবং অব্যবস্থাপনার জন্য সংস্থাটিকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

তবে ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরেস জানান, ডব্লিউএইচও'র প্রতি সহায়তা বন্ধের সময় নয় এটি।

ডব্লিউএইচও’র এককভাবে সবচেয়ে বড় অনুদানকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটিকে গত বছর ৪০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ অনুদান দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। যা ডব্লিউএইচও’র মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ।

সেদিক দিয়ে সংস্থাটিতে ২০১৮-২০১৯ সালে চীনের অবদান ছিল ৭৬ মিলিয়ন ডলারের, সেই সঙ্গে আরও প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারের স্বেচ্ছা অনুদান।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মার্চে ডব্লিউএইচও ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল ঘোষণা কর। তবে নতুন করে এক বিলিয়ন ডলারের অনুদানের আবেদন করার চিন্তা করছে সংস্থাটি।

এক সপ্তাহ আগে সংস্থাটিকে অর্থায়ন বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, করোনা ইস্যুতে চীনের পক্ষ নেয়া বন্ধ না করলে ডব্লিউএইচও'কে অর্থায়ন বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

গত বুধবারের প্রেসিডেন্টের ট্রাম্পের ভাষ্য, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সব চেয়ে বেশি অর্থ সাহায্য করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তার প্রতিদান তারা দিতে পারেনি।’

সেদিনই যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ডব্লিউএইচও প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, ‘ট্রাম্প এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি বন্ধ করুন। নইলে আরও বেশি মৃতদেহ দেখতে হবে তাকে।’

তেদ্রোস বলেন, ‘যেহেতু চীনেই প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল, তাই ভাইরাসের উৎস খুঁজতে চীনে লাগাতার কাজ চালাচ্ছে তাদের সংস্থা। এটাই বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।’

জেনেভায় তিনি রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দলের মনোযোগ হওয়া উচিত, তাদের দেশের লোকদের বাঁচানো। দয়া করে এই ভাইরাস নিয়ে রাজনীতি করবেন না। এটি জাতীয় পর্যায়ে আপনাদের মতপার্থক্যকে আরো বেশি সুবিধা করে দেবে।’

এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ২৬ হাজারের অধিক লোক। সুত্র: বিবিসি।