নতুন ড্রোন ফুটেজ প্রকাশের পরও উইঘুর নির্যাতন অস্বীকার চীনা রাষ্ট্রদূতের

নতুন ড্রোন ফুটেজ প্রকাশের পরও উইঘুর নির্যাতন অস্বীকার চীনা রাষ্ট্রদূতের

চীনের শিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন নিয়ে সম্প্রতি নতুন ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, উইঘুরসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর শত শত মানুষের চোখ বেঁধে রাখা হয়েছে। তাদের শেকল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। এমন প্রমাণ সত্ত্বেও শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লউ শিয়াওমিং। তিনি দাবি করেছেন, উইঘুররা অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সংহতিপূর্ণভাবে বাস করছেন। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

খবরে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন ও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো চীনের শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করে আসছে বহুদিন ধরে। অভিযোগ অনুসারে, সেখানে বন্দিশিবিরে সংখ্যালঘুদের জোরপূর্বক শ্রম, বন্ধ্যাকরণ ও আটক করে রাখা হচ্ছে। তবে চীন বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

তাদের দাবি, শিবিরগুলোয় সংখ্যালঘুদের পুনঃশিক্ষা দেওয়া হয়।

তবে সম্প্রতি প্রকাশিত এক ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, শেকল দিয়ে বাঁধা শত শত উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘু পুরুষকে চোখে কালো কাপড় বেঁধে একটি ট্রেন থেকে নামিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিওটি গত আগস্টের ও ওই ট্রেনটির মাধ্যমে বন্দিদের শিনজিয়াংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিবিসির একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক অ্যান্ড্রিও মার চীনা রাষ্ট্রদূত শিয়াওমিংকে এ ফুটেজ দেখালে তিনি বলেন, আমি জানি না আপনি এ ভিডিও ফুটেজ কোথায় পেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, মাঝে মাঝে যেকোনো দেশেই বন্দিদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।

শিয়াওমিং বলেন, উইঘুর জনগণরা অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে খুবই শান্তিপূর্ণ ও সংহতিপূর্ণ পরিবেশে বাস করেন। আমরা প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে সমান আচরণ করি।

এরপর শিয়াওমিংকে শিনজিয়াংয়ের একজন নারীর সাক্ষাৎকার দেখানো হয়। তাতে ওই নারী বলেন, তাকে জোরপূর্বকভাবে বন্ধ্যা করে দেওয়া হয়েছে। এ সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে শিয়াওমিং বলেন, এসব চীন-বিরোধী গোষ্ঠীর প্রতিবেদন। চীনে উইঘুর নারীদের ব্যাপকভাবে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ হয় না। তবে তিনি স্বীকার করেন যে, এরকম একক ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তিনি বলেন, আমি একক ঘটনার কথা অস্বীকার করতে পারবো না। প্রত্যেক দেশেই এমন দুই-একটা ঘটনা ঘটে।