পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সেনা অভ্যুত্থান ও দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আটক সব সরকারি কর্মকর্তার আশু মুক্তি ও সাংবিধানিক শাসন পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
মঙ্গলবার বিকালে বিদ্রোহী সেনারা মালির প্রেসিডেন্ট ভবনে হানা দিয়ে অস্ত্রের মুখে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোউবাকার কেইতা ও প্রধানমন্ত্রী বোউবোউ সিসেকে আটক করে রাজধানী বামাকোর একটি সামরিক ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিদ্রোহী সৈনিকরা।
মালির বিদ্রোহী সেনারা জানিয়েছে, দেশে বিশৃঙ্খলা আরও ছড়িয়ে পড়া রোধ করতেই তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে। বেসামরিক সরকার গঠন করে নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় ওই অঞ্চলের ১৫টি দেশ নিয়ে গঠিত দ্য ফিফটিন-নেশন ইকনোমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকা স্টেটস (ইসিওডব্লিউএএস) মালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
সীমান্ত বন্ধ, অর্থনৈতিক প্রবাহ স্থগিত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ পরিষদগুলো থেকে দেশটিকে বের করে দিয়েছে সংস্থাটি।
২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো বিজয়ী হন ইব্রাহিম কেইতা।কিন্তু দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় তার ওপর অনেকের ক্ষোভ তৈরি হয়।
মালির সেনাদের মধ্যে বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষ এবং জিহাদিদের সঙ্গে অব্যাহত লড়াই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপরেও অনেকে সন্তুষ্ট নন।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বেশ কয়েকবার বড় ধরণের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির রক্ষণশীল মুসলমান ইমাম মাহমুদ ডিকো নেতৃত্বাধীন নতুন একটি জোট দেশে সংস্কারের দাবি তুলেছে।
তাকে ইব্রাহিম কেইতা যৌথ সরকার গঠন করাসহ নানা প্রস্তাব দিলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এমজে/