গ্রামবাসীর সঙ্গে দেখা করতে ১১ ঘন্টার পাহাড়ি পথ পায়ে হাটলেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

গ্রামবাসীর সঙ্গে দেখা করতে ১১ ঘন্টার পাহাড়ি পথ পায়ে হাটলেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী

ভারতের পাহাড়ি রাজ্য অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু নিজের সংসদীয় আসন সফর করতে ১১ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে পাড়ি দিয়েছেন। তাওয়াং জেলার মুক্তো আসন থেকে নির্বাচিত এই আইনপ্রণেতা সেখানকার একটি গ্রামের বাসিন্দাদের দেখতে যেতে ১১ ঘন্টা পায়ে হেঁটে প্রায় ২৪ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা পারি দিয়েছেন। দুর্গম উপত্যকা আর বনাঞ্চল পেরিয়ে তাওয়াং থেকে প্রায় ৯৭ কিলোমিটার দূরবর্তী লুগুথাং গ্রামে পৌঁছান ৪১ বছর বয়সী মুখ্যমন্ত্রী।

সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪ হাজার পাঁচশ’ ফুট উপরে অবস্থিত গ্রাম লুগুথাং। পাহাড় চূড়ায় অবস্থিত গ্রামটিতে ৫০ জন বাসিন্দা রয়েছেন। দশটি বাড়িতে বসবাস করেন তারা। কোনও রাস্তা না থাকায় গ্রামটিতে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় পায়ে হেঁটে পাহাড়ে চড়া। গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে বৃহস্পতিবার তাওয়াং ফিরে আসেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘কারপু-লা থেকে লুগুথাং পাড়ি দেওয়া ছিল কষ্টকর যাত্রা।

লুগুথাং গ্রামে পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় দৃষ্টি নন্দন কারপু লা পর্বত এবং বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক লেক। গ্রামটিতে পৌঁছানোর পরদিন সেখানে একটি বৌদ্ধমন্দির স্থাপনের কাজের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সে সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সেখানকার এমএলএ তেসারিং তাসি, গ্রামবাসী এবং তাওয়াং বৌদ্ধআশ্রমের পন্ডিত।

বৌদ্ধমন্দিরটির নামকরণ করা হয়েছে পেমা খান্ডুর বাবা এবং রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খান্ডুর নামে। ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল তাওয়াং থেকে ইটানগর ফেরার পথে লুগুথাং গ্রামের কাছে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান দর্জি খান্ডু।

তাওয়াং এর একটি সূত্র জানিয়েছে, লুগুথাংয়ের একটি বাড়িতে দুই রাত্রি যাপনের পর তাওয়াং ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। লুগুথাং গ্রামটিতে মূলত ইয়াক পালনকারী যাযাবর জনগোষ্ঠীর বসবাস।

এমজে/