রানীকে আর রাষ্ট্রপ্রধান চায় না বার্বাডোজ

রানীকে আর রাষ্ট্রপ্রধান চায় না বার্বাডোজ

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে আর রাষ্ট্রপ্রধান মানতে চায় না বার্বাডোজ। রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে ব্রিটিশ রানীকে সরিয়ে বার্বাডোজে ঔপনিবেশিক শাসনের কলঙ্ক মুছে ফেলতে চান দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলে।

আগামী নভেম্বরে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার ৫৫তম বর্ষপূর্তিতে সরকারের এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।

মঙ্গলবার এক লিখিত বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন মোটলে। রানীর বাসভবন বাকিংহাম প্যালেস থেকেও বিষয়টি নির্ভর করছে বার্বাডোজের সরকার ও জনগণের ওপর নির্ভর করছে বলে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বিবিসি, সিএনএন।

পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গভর্নর জেনারেল। ১৯৬৬ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রথম প্রধানমন্ত্রী এরল ব্যারোর একটি সতর্কবার্তাও সেখানে উল্লেখ করে হয়েছে। যাতে তিনি বলেছিলেন, ‘উপনিবেশিক বৃত্তের মধ্যে দেশকে ঘুরপাক খাওয়া উচিত হবে না।’

প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর দেশটির বার্বাডোজের গভর্নর জেনারেল সান্দ্রা ম্যাসন বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যেই রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্য বার্বাডোজের। ‘উপনিবেশের অতীত এখন পুরোপুরি পেছনে ফেলার সময় এসে গেছে।’

লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলে বলেছেন, বার্বাডিয়ানরা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে একজন বার্বাডিয়ানকে চায়।

প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়া এই সরকার প্রধানের বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা কে এবং কী অর্জন করতে সক্ষম সেই আত্মবিশ্বাসের চূড়ান্ত বিবৃতি এটি।’

দ্বীপরাষ্ট্র ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের প্রথম সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে বার্বাডোজই যে প্রথম রাজতন্ত্র থেকে প্রজাতন্ত্রে যাচ্ছে, তা নয়। স্বাধীনতার চার বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৭০ সালে গায়ানা এই মর্যাদা আদায় করে এবং ১৯৭৬ ও ১৯৭৮ সালে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও ডোমিনিকা একই পথ অনুসরণ করে।

বার্বাডোজের প্রজাতন্ত্র মর্যাদা অর্জনের জন্য ১৯৯৮ সালে সাংবিধানিক রিভিউ কমিশন একটি সুপারিশ করেছিল।

এমজে/