আরো এগিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী : বাইডেন ২০৯, ট্রাম্প ১১৮

আরো এগিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী : বাইডেন ২০৯, ট্রাম্প ১১৮

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী জো বাইডেন। বিভিন্ন টেলিভিশনের প্রক্ষেপিত ফলে জো বাইডেন ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে ২০৯টিতে এগিয়ে আছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এগিয়ে আছেন ১১৮টিতে। তবে যে কয়টি সুইংস্টেট ফল নির্ধারণ করে থাকে তার মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ ফ্লোরিডায় এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনার মতো সুইংস্টেটগুলো থেকে সবেমাত্র ফল আসা শুরু হয়েছে। রক্ষণশীলদের রাজ্য বলে পরিচিত আলাবামা, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি এবং টিনেসিতে জয় পেতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অন্যদিকে ডেমোক্রেটপন্থি ম্যাসাচুসেটস, ভারমন্ট এবং ভার্জিনিয়ায় জয় পেতে চলেছেন জো বাইডেন।

তবে এসব পূর্বাভাস তখনি দেয়া হয়, যখন কে বিজয়ী হতে যাচ্ছে, সেই সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে মাস জুড়ে চলা ভোট গ্রহণ, নির্বাচনের দিনের বুথ ফেরত জরিপ এবং কিছুটা জমা পড়া ভোট গণনার ফলাফলের ভিত্তিতে।

অনেক বেশি আগাম ভোট পড়ার কারণে অনেক রাজ্যে ভোট গণনা শেষ হতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি সময় লাগতে পারে।

বাংলাদেশে এখন দিন হলেও যুক্তরাষ্ট্রে এখন রাত। নির্বাচনী রাতে এখনো বড় ধরণের কিছু ঘটেনি বা বড় কোন খবর আসেনি।

রেজাল্ট নিয়ে আপত্তির সম্ভাবনা কতটা?
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি জো বাইডেন, কে বিজয়ী হয়েছেন, সেটা জানতে কয়েকদিন, এমনকি কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে।

সাধারণত ভোটের পরদিন ভোর হতে হতেই কে বিজয়ী হতে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে কোন কোন সমং ভোটগণনা শেষ হতে কয়েকদিনও লেগে যেতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের ভোটের পর নিউইয়র্কে তার বিজয়ীর ভাষণ দিয়েছিলেন ভোররাত তিনটের দিকে, উল্লসিত সমর্থকদের সামনে একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে।

তবে কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল জানতে হয়তো কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

এর কারণ - এবার ডাকযোগে দেয়া ভোটের সংখ্যা অনেক বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সবশেষ যে নির্বাচনে ফলাফল পেতে দেরি হয়েছিল তা হলো ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

সেবার রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ বুশ ও ডেমোক্র্যাট অ্যাল গোরের মধ্যে এত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল যে তা নিয়ে শুরু হয় কয়েক সপ্তাহব্যাপী আইনী যুদ্ধ, যার পরিণামে ফ্লোরিডা রাজ্যের ভোট পুনর্গণনা করতে হয় এবং ব্যাপারটা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়।

অবশেষে মি. বুশকে জয়ী ঘোষণা করা হয়, ফলে তিনি ফ্লোরিডার ২৫টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়ে যান। তাতে তার মোট ইলেকটোরাল ভোট দাঁড়ায় ২৭১ এবং বিজয় নিশ্চিত হয়। গোর পপুলার ভোট বেশি পেলেও পরাজয় স্বীকার করে নেন।

এমজে/