জর্জিয়াতেও জয় পেলেন বাইডেন

জর্জিয়াতেও জয় পেলেন বাইডেন

অবশেষে জর্জিয়া রাজ্যেও জয় পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন। এর মধ্য দিয়ে তার বিজয় আরো শক্তিশালী হলো। ১৯৯২ সালের পর প্রথমবারের মতো একজন ডেমোক্রেট হিসেবে তিনি এ রাজ্যে জয় পেয়েছেন। ফলে তার এখন ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ৩০৬।

অন্যদিকে নর্থ ক্যারোলাইনায় প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জয়ের পথে রয়েছেন। এখানে জিতলে তার মোট ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা দাঁড়াব ২৩২। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলেছে, এখনও নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানুয়ারিতে নতুন প্রশাসন চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

নির্বাচনের পরে তিনি তার করোনা ভাইরাস টাস্ক ফোর্সকে ব্রিফিং করেছেন। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে জো বাইডেনের নামও উচ্চারণ করেননি। তিনি হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে বলেছেন, এই প্রশাসন লকডাউন দেবে না। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এ অবস্থায় তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কি ঘটবে, কোন প্রশাসন আসবে কে জানে! আমি মনে করি সময়ই তা বলে দেবে। তবে এসময় তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেননি। উল্লেখ্য, জো বাইডেনকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মেনে নিতে ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ বাড়ছে। একই সঙ্গে চাপ বাড়ছে ক্ষমতা এক প্রশাসন থেকে অন্য প্রশাসনে হস্তান্তরের জন্য। এরই মধ্যে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় জো বাইডেনকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা স্বীকৃতি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সর্বশেষ চীনও অভিনন্দন জানিয়েছে বাইডেনকে। ওদিকে সুইং স্টেটগুলোর নির্বাচনী ফলের বিরুদ্ধে আইনী চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি ভোট জালিয়াতির যে অভিযোগ এনেছেন, তা ব্যাপকভাবে অপ্রমাণিত। কিন্তু শুক্রবার তিনটি রাজ্যে তিনি এ লড়াইয়ে পরাস্ত হয়েছেন। নির্বাচনের দিনে যেসব ব্যালট জমা পড়েছে তা পর্যালোচনা চেয়ে আগের করা মামলা প্রত্যাহার করেছে অ্যারিজোনায় রিপাবলিকান শিবির।

সেখানে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ পরিষ্কারভাবে এগিয়ে আছেন, এটা দেখার পর ওই মামলা প্রত্যাহার করা হয়। মামলা করা হয়েছিল এই অভিযোগে যে, কিছু বৈধ ভোট সেখানে বাতিল করা হয়েছে। মিশিগানে একই রকম মামলা প্রত্যাখ্যান করেছেন বিচারক। একই ঘটনা ঘটেছে পেনসিলভ্যানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায়।

এমজে/