রাশিয়ার করোনা টিকা অন্য দেশগুলোকে দিতে প্রস্তুত পুতিন: দ্য হিলের রিপোর্ট

রাশিয়ার করোনা টিকা অন্য দেশগুলোকে দিতে প্রস্তুত পুতিন: দ্য হিলের রিপোর্ট

সারাবিশ্বে নিজেদের আবিষ্কার করা ‘প্রথম করোনা ভাইরাসের টিকা’ স্পুটনিক-৫ অন্য দেশগুলোকে দিতে প্রস্তুত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন।

শনিবার তিনি সৌদি আরবে আয়োজিত গ্রুপ অব ২০ বা জি-২০ এর সামিটে নেতাদের উদ্দেশে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মতে, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টিকাও তৈরি করছে রাশিয়া। বিশ্ব নেতাদের পুতিন বলেছেন, টিকার পোর্টফোলিও সৃষ্টি করা হলো আমাদের সাধারণ লক্ষ্য। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিল। এতে আরো বলা হয়, জি-২০ভুক্ত অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, জাপান ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন। এমন এক সময়ে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়া ওই ঘোষণা দিয়েছে যখন তাদের উৎপাদিত টিকা স্পুটনিক-৫ এর নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এ মাসের শুরুর দিকে রাশিয়া আরো ঘোষণা করেছে যে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে শতকরা ৯২ ভাগ সুরক্ষিত রাখার কার্যকারিতা রয়েছে স্পুটনিক-৫ এর।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাত্র ২০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর চালানো পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে রাশিয়া এমন দাবি করেছে। ওই স্বেচ্ছাসেবকরা ছিলেন করোনা আক্রান্ত। কিন্তু স্পুটনিক-৫ ব্যবহার করা হয়েছে খুবই কম সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকের ওপর, যেখানে ফাইজার, বায়োএনটেকের প্রস্তুতকৃত টিকার পরীক্ষা করা হচ্ছে বৃহত্তর পরিসরে। তাদের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক। অনেকে বলছেন, ফাইজার দুদিন আগে তাদের টিকার কার্যকারিতা শতকরা ৯০ ভাগের বেশি বলে দাবি করেছে। এর দু’দিন পরেই রাশিয়া তাদের টিকা নিয়ে এমন মন্তব্য করেছে। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রথম ডোজ টিকা প্রয়োগের ২৮ দিন পর ফাইজার ঘোষণা করেছে, তাদের টিকা শতকরা ৯৫ ভাগ কার্যকর। ফাইজার এবং বায়োএনটেক শুক্রবার ঘোষণা করেছে, তারা জরুরি ভিত্তিতে তাদের টিকা অনুমোদনের জন্য ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনে (এফডিএ) আবেদন করেছে। উপরন্তু তারা ইউরোপে এবং যুক্তরাষ্ট্রে টিকা বিতরণ শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে তা আরো বাড়ানো হবে। এই কোম্পানি আরো বলেছে, অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা তাদের টিকা বৃহত্তর পরিসরে বিতরণ করতে প্রস্তুত। এরই মধ্যে বিশেষজ্ঞরা পূর্বভাস দিয়েছেন যে, ফেডারেল অনুমোদন পাওয়ার পর এই টিকা প্রথমেই প্রয়োগ করা হবে সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা গ্রুপগুলোর ওপর। তবে তা এই বছরের শেষের দিকে হতে পারে। আগামী বছরের গ্রীষ্মের দিকে অন্যদের ক্ষেত্রে এই টিকা বিতরণ করা হতে পারে। ওদিকে জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির ডাটা অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস আক্রান্তের দিক দেয়ে রাশিয়া এখন সারা বিশ্বে পঞ্চম অবস্থানে। সেখানে কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ। এরপরেই রয়েছে ভারত, ব্রাজিল ও ফ্রান্স।

এমজে/