বিমান হামলায় আফগানিস্তানে নিহতের হার বেড়েছে ৩৩০ শতাংশ

বিমান হামলায় আফগানিস্তানে নিহতের হার বেড়েছে ৩৩০ শতাংশ

২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চালানো বিমান হামলায় আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহতের হার ৩৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এক মার্কিন গবেষণার বরাত দিয়ে খবরটি জানায় বিবিসি।

৩৫ জন স্কলারের সমন্বয়ে গঠিত ব্রাউন ইউনিভার্সিটির কস্টস অব ওয়ার প্রজেক্ট বলছে, শুধু ২০১৯ সালেই নিহত হয়েছে ৭০০ মানুষ। যা ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার সূত্র ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান আক্রমণের পর সর্বোচ্চ সংখ্যা।

গবেষকেরা বলছে, ২০১৭ সাল থেকে যুদ্ধে শিথিলতা প্রদর্শনের কারণে বেসামরিক নাগরিক নিহতের এই হার বাড়ছে।

তারা জানান, বিমান হামলার বৃদ্ধির আংশিক কারণ হলো স্থলে মার্কিন সেনা কম ছিল। কিন্তু তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য আরও চাপ তৈরির লক্ষ্য ছিল তাদের।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তালেবানদের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছার পর বিমান হামলা থেকে পিছু হটে দেশটি। সেনা কমানোর প্রতিশ্রুতিও দেয় ওই সময়।

কিন্তু কস্টস অব ওয়ার প্রজেক্ট দেখেছে, মার্কিন-তালেবান চুক্তির কয়েক মাসের মধ্যে বিমান হামলা বাড়িয়েছে আফগান সামরিক বাহিনী। কারণ কাবুলে সরকারের সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীর আলোচনা এখনো বাকি রয়েছে।

গবেষণা পত্রটি বলছে, আফগান বিমানবাহিনী এখন “ইতিহাসের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি বেসামরিক লোককে ক্ষতিগ্রস্ত করছে”।

২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসেই আফগান বিমান হামলায় ৮৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১০৩ জন আহত হয়।

নভেম্বর সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, গত ১৪ বছরে প্রতিদিন গড়ে ৫ আফগান শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য উল্লেখ করে কস্টস অব ওয়ার প্রজেক্ট বলছে, ২০০৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশটিতে কমপক্ষে ২৬ হাজার ২৫ শিশু নিহত বা বিকলাঙ্গ হয়েছে।

এমজে/