উইঘুরদের পরিকল্পিত গণহত্যার অভিযোগে সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের

উইঘুরদের পরিকল্পিত গণহত্যার অভিযোগে সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের

ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমতের ব্যতিক্রম হিসেবে বাইডেন প্রশাসন চীনের জিংজিয়াংয়ে উইঘুরদের ওপর পরিকল্পিত গণহত্যার অভিযোগের সিদ্ধান্তে সমর্থন করেছে। এর আগে ট্রাম্প জিংজিয়াংয়ে উইঘুরদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট চীনা কর্মকর্তা ও শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন এবং ওই অঞ্চল থেকে তুলা ও টমেটো আমদানি না করার আদেশ দেন।

২০১৮ সালে জাতিসংঘের এক প্যানেল জানায়, 'তাদের বিশ্বস্ত সূত্রের সংবাদ অনুযায়ী অন্তত ১০ লাখ মুসলমানকে জিংজিয়াংয়ের বন্দীশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে।

চীন এই তথ্য অস্বীকার করে বলেছে, উগ্রবাদের মোকাবেলা করতে স্থানীয়দের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্দেশে তারা এই শিবিরগুলো তৈরি করেছে।'

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে দুই দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে চীনের জিংজিয়াং অঞ্চল থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পাস হওয়া এই প্রস্তাব অনুযায়ী, জিংজিয়াং থেকে পণ্য আমদানির সময় ওই পণ্যে ‘বাধ্যতামূলক শ্রমে তৈরি নয়’ সনদ না থাকলে তা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করতে পারবে না চীন। একই সঙ্গে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের অপব্যবহারের জন্য দায়ী চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার সুযোগ ওই প্রস্তাবে রাখা হয়।'

পাস হওয়া প্রস্তাবে চীনের উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত চীনা কারখানা ও সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকা মার্কিন কোম্পানিগুলোর আর্থিক তালিকা প্রকাশের বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবের সূচনায় ডেমোক্রেট দলীয় সদস্য জিম ম্যাকগোভার্ন বলেন, আতঙ্কের সঙ্গে আমরা প্রত্যক্ষ করি চীনের এমন এক বিচার বহির্ভূত গণ বন্দীশিবিরি ব্যবস্থা তৈরির এবং পরে সম্প্রসারণের, যার লক্ষ্য উইঘুর ও মুসলিম সংখ্যালঘুরা। তিনি অভিযোগ করেন জিংজিয়াংয়ের অর্থনীতি বাধ্যতামূলক শ্রম ও দমন-পীড়নের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এই বাধ্যতামূলক শ্রমের ফায়দাভোগী এবং এর মাধ্যমে তৈরি বিভিন্ন পন্য সারাবিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। এই লক্ষ্যে কংগ্রেসের ভূমিকা নিতে অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে।'

এমজে/