ঈদের দিনও ফিলিস্তিনিদের ঘুম ভেঙেছে বোমার শব্দে, নিহত বেড়ে ৮৩

ঈদের দিনও ফিলিস্তিনিদের ঘুম ভেঙেছে বোমার শব্দে, নিহত বেড়ে ৮৩

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৭ শিশুও রয়েছে। গাজায় বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করেন ফিলিস্তিনের মানুষ। ঈদের দিনও অনেক ফিলিস্তিনির ঘুম ভেঙেছে বোমার শব্দে।

পূর্ব জেরুসালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে গত সোমবার থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, চার দিন ধরে ইসরায়েলি হামলায় ১৭ শিশুসহ ৮৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৪৮০ জনেরও বেশি।

এদিকে গাজা থেকে ছোড়া রকেট হামলায় অন্তত ছয়জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, গাজা থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে বিভিন্ন স্থানে শত শত রকেট ছোড়া হয়েছে। এই পরিস্থিতে তারা পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে।

স্থানীয় কয়েকটি সূত্র বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের ভবন ছাড়াও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর কয়েকটি ভবনেও হামলা চালানো হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির ইহুদি ও ফিলিস্তিনির মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও সিনাগগে আগুন দেন ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা। কোথাও কোথাও ফিলিস্তিনিদের দোকান-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে ইসরায়েলে অভ্যন্তরে ইহুদি ও আরব সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ। তিনি বলেন, ‘জাতীয়ভাবে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় আমরা এখন জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন তাঁরা।’